শাবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে একাই দাঁড়ালেন রাবি শিক্ষক

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ২৩ ২০২২, ১৬:৩০

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে একাই দাঁড়ালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদ খান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক।

রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে দাঁড়িয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। বেলা ১১টা থেকে শুরু করে দুপুর ১টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে নিরব প্রতিবাদ করেন এই শিক্ষক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে, একজন অভিভাবক হিসেবে আমি ভীষণ লজ্জিত ও ব্যথিত। একজন শিক্ষকের কারণে আজ আমাদের সন্তানেরা মরণাপন্ন। আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যে দাবি জীবনের মায়া করে না সেই দাবি কখনো অযৌক্তিক হতে পারেনা। শিক্ষার্থীদের জীবনের চেয়ে শিক্ষাঙ্গণে কোনও পদই বড় হতে পারে না। তাই বিবেকের তাড়নায় আমার এই নিরব প্রতিবাদ।

আরও পড়ুন: সংসদে শাবি ভিসির অপসারণ দাবি

তিনি আরও বলেন, এই নীরবতার ভাষা লাখো শিক্ষকের, লাখো অভিভাবকের ক্ষোভের ভাষা, বিবেকের ভাষা। একজন অভিভাবক যখন পুলিশ ডেকে এনে সন্তানদের শায়েস্তা করেন, তখন তিনি আর অভিভাবক থাকেন না। হয়ে যান একজন শাসক, নির্মম শাসক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও শাসক চাই না, চাই অভিভাবক। আমাদের সন্তানদের বাঁচান। সন্তানদের কাছে হার মানা কোনও লজ্জার নয় বরং আনন্দের। আমাদের সন্তানেরা আজ প্রতিবাদ করতে শিখেছে।

শাবিপ্রবির ভিসিকে পদত্যাগ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক সমাজকে জাতির কাছে কলঙ্কিত করবেন না, ছোট করবেন না। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। আপনার শিক্ষকতা জীবনের অর্জনকে হেয় হতে দেবেন না। শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে আপনার প্রশংসিত ভূমিকাকে খাটো করবেন না। আবারও বলছি পদত্যাগ করুন।

প্রসঙ্গত, এর আগে সকালে ফেসবুকে পোস্ট করে করোনা সংক্রমণ এড়াতে কর্মসূচিতে কাউকে অংশ না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এই শিক্ষক।

আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ভিসির পদত্যাগ অমীমাংসিত, অনশন চলবে

এদিকে শাবির ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে আজকের মধ্যেই অপসারণের দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। আজ রোববার (২৩ জানুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে এ দাবি তোলে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।

পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ভাইস চ্যান্সেলর, হাউস টিউটরের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তারা অনশনে আছেন। ১৬ জন এরই মধ্যে হাসপতালে ভর্তি হয়ে গেছেন। এতে কারো টনক নড়ছে না। আমি মনে করি, আর কোনো তদন্ত রিপোর্ট নয়। কারো সঙ্গে আলাপ, আলোচনা নয়। শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী আছেন। ভাইস চ্যান্সেলরকে আজকের মধ্যেই ওখান থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে আসেন। ছাত্রদের ক্লাসে ফিরে যেতে সহায়তা করেন।