উপাচার্যের পদত্যাগের দাবীতে ফের উত্তাল শাবি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ১৭ ২০২২, ১৩:০৬

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এদিন দুপুর ১২টার মধ্যে হল-ক্যাম্পাস ত্যাগের ঘোষণা থাকলেও তারা সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিন সকাল থেকেই ‘যেই ভিসি গ্রেনেড ছোড়ে, সেই ভিসির পদত্যাগ চাই’, ‘যেই ভিসি ছাত্র মারে, সেই ভিসি চাই না’, ‘যেই ভিসি গুলি ছোড়ে, সেই ভিসির পদত্যাগ চাই’, ‘শিক্ষার্থীর ওপর হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান এক হও এক হও’ স্লোগানে ক্যাম্পাস উত্তাল করে তোলেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য শাবি বন্ধ ঘোষণা

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা ক্যাম্পাস ছাড়বেন না। এমনকি তাদের ক্যাম্পাস ছাড়তে বলায় প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। যতক্ষণ না ‘স্বৈরাচার’ উপাচার্য পদত্যাগ করছেন, ততক্ষণ আন্দোলনের মাঠে থাকবেন তারা।

চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলের ফটকে ও প্রভোস্টদের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কার্যালয়েও তালা দিয়েছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, এর আগে, গতকাল রবিবার রাতে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধের ঘোষণা দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

উপাচার্য বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা কঠিন। সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার এখন আর সে পরিবেশ নেই। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে।

তবে প্রশাসনের এ নির্দেশনা প্রত্যাক্ষণ করে সোমার রাত থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, পুলিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর গুলি করা হয়েছে। এরপর আমাদের জোর করে হল-ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত মানিনা। আমরা ভিসির পদত্যাগ চাই।

শাবিপ্রবিতে আন্দোলনের সূত্রপাত হয় গেল বৃস্পতিবার রাতে। এদিন ছাত্রীরা হলের সমস্যা নিয়ে তাদের রিডিং রুমে বসে আলোচনা করেন। পরে সমস্যার কথাগুলো প্রভোস্টকে বলার জন্য হলে আসার অনুরোধ জানান।

তখন প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা অসুস্থতার কথা জানালে ছাত্রীরা প্রভোস্ট বডির একজন সদস্যকে অল্প সময়ের জন্য হলে আসার অনুরোধ জানান এবং বিষয়টি জরুরি বলে উল্লেখ করলে প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এরপরে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বের হয়ে এদিন রাত দুইটা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন।