আপনি জানেন কি বন্যার চেয়ে ভয়াবহ একটি দুর্যোগ ধেয়ে আসছে 

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ০১ ২০২২, ১৮:১৪

মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ:  প্রায় হাইস্কুলে একজন ধর্মীয় শিক্ষক আছেন।যাকে মৌলভী স্যার বলা হয়। যিনি ধর্মীয় শিক্ষার বই সামনে রেখে সম্যক হলেও ইসলামের কিছু দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। ইসলাম শিক্ষা বইয়ের মাধ্যমে ছাত্ররা অন্তত ইসলামের মৌলিক কিছু ধারণা লাভ করে। প্রিয় নবীর সা. মহান চরিত্র সম্পর্কে কিছু জানতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতেও যৎসামান্য ইসলামের শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে।

কিন্তু আপনি জানেন কি?

আগামী বছর থেকে আমাদের জাতীয় শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত নেই।নৈতিকতা শিক্ষার নামে কি শিক্ষা দেয়া হবে?এখনো জাতি অন্ধকারে।

স্কুলের সেই মহান মৌলবী স্যারদের হয়তো আর দেখা যাবেনা।এমন হতে বেশি দূরে নয়, একটি হাইস্কুলের হাজারো ছাত্রের মধ্যে দু-একজন ছাত্রও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যারা কালিমা জানে।প্রিয় নবীর সা. নাম সুন্দর ভাবে বলতে পারে।

হেফাজতে ইসলামের দাবির পরিপেক্ষিতে চার বছর পুর্বে সরকার যখন বাংলা সাহিত্য বইয়ে ইসলামী ভাবাপন্ন দু’একটি পাঠ সংযোজন করে নেয়। আমরা তৃপ্তির ডেকুর তুলে নিজেদের আঙ্গিনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ইসলাম বিদ্বেষীরা কিন্তু বসে নেই।হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম কোনঠাসা হয়ে যাওয়ার সুযোগে ওরা শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেয়ার মতো ঘৃণ্য কাজ করে নিতে সক্ষম হয়।

এছাড়া বাংলা পাঠ্য বইয়ে ইসলামী ভাবাপন্ন কয়েকটি পাঠ বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদি কয়েকটি বিষয় সংযোজন করেছে।যা গতকাল জাতীয় সংসদে একজন সাংসদ সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।

কামাল আতার্তুকের তুরস্কের মতো একটি ধর্মহীন সেকুল্যার রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ওরা এগিয়ে যাচ্ছে।ঐতিহ্যবাহী আদম শুমারী এখন জনশুমারী নামে অভিহিত করা হয়। হযরত আদম আ. এর নামও ওদের বরদাশত হয়না।

ইসলাম শব্দে ওদের এলার্জি।ওরা এদেশ থেকে ইসলাম নির্মুলের অভিযানে নেমেছে। আর সে লক্ষ্যেই শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলামকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

এখনই পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ।বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব। কিন্তু ঈমান বিধ্বংসী সে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ব্যর্থ হলে আমাদের ধ্বংস অনিবার্য। দেশ জাতি ও ইসলাম বিরুধী মহাদুর্যোগ কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়।

এমনি নাজুক মুহুর্তে আমাদের যা করা প্রয়োজন—

  • গ্রামে-গঞ্জে পাড়া মহল্লায় ব্যাপকহারে সাবাহী মক্তব প্রতিষ্ঠা করা।
  • শহরাঞ্চলে বৈকালিক ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলা।
  • ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা।
  • শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেয়ার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলা।
  • সরকার দলীয় ইসলামী ভাবাপন্ন নেতাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে মতবিনিময় করা।
  • ধর্মপ্রাণ জনতার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

হে আল্লাহ! তোমার দ্বীনদ্রোহী নাস্তিকদের খপ্পর হতে আমাদের দেশকে রক্ষা কর।