স্কুলে মুসলিম শিক্ষক নেই তাই ১২ বছর ধরে হচ্ছে না ‘ইসলাম শিক্ষা’ ক্লাস!

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ০২ ২০১৯, ০৭:১৪

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বারুগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩শ শিক্ষার্থীর মধ্যে অধিকাংশই মুসলিম। আর এসব মুসলিম শিক্ষার্থীদের সব শিক্ষকই হিন্দু। তাই ইসলাম ধর্মের প্রাথমিক দ্বীনিয়াত শিক্ষা থেকে এসব শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ এক যুগ ধরে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা সিলেবাসের অন্যতম ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের পাঠদানও তাই বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছ , বারুগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ৮ জন হিন্দু শিক্ষকই পাঠদান করছেন। তাহলে কী ১২ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের ইসলাম শিক্ষা ক্লাস হচ্ছে না?

শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের অভিযোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১২ বছর ধরে কোনো মুসলিম শিক্ষক না থাকায় ইসলাম শিক্ষা ক্লাস নেয়া হচ্ছে না বললেই চলে।

বারুগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দিপ্তী রানী দাস বলেন, এ স্কুলে বর্তমানে প্রায় ৩শ শিক্ষার্থী ও ৮ জন শিক্ষক রয়েছে। ৮ জন শিক্ষকের সবাই হিন্দু ধর্মীয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মুসলিম।

ইসলাম শিক্ষার ক্লাস নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুসলিম শিক্ষক নেই, আমাদের কি করার আছে। মুসলিম শিক্ষক না থাকায় ইসলাম শিক্ষার ক্লাস আমাদেরকেই নিতে হয়। কর্মরত শিক্ষকরাই ক্লাস নিয়ে থাকেন বলে জানান দিপ্তী রানী দাস।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলটিতে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কোনো মুসলমান শিক্ষকের পদায়ন না থাকার কারণে বারুগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম শিক্ষা ক্লাস নেয়া হয় না। এ স্কুলে বর্তমানে আটজন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও সবাই হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক তাই ইসলাম শিক্ষা ক্লাস হয় না।

বহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: রেজাউল করিমও বলেন, আজ ১২ বছর ধরে বারুগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো মুসলমান শিক্ষক না থাকার কারণে ইসলাম শিক্ষা ক্লাস নিতে শিক্ষকদের সমস্যা হচ্ছে।

দীর্ঘ দিন পর হলেও অভিভাবক ও স্থানীয় ব্যক্তিরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহানকে অবগত করেছেন। তিনি দ্রুত স্কুলটিতে মুসলিম শিক্ষক দেয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান বলেন, স্কুলটিতে ১২ বছর ধরে ইসলাম শিক্ষা ক্লাস না হওয়ার বিষয়টি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় লোকজন আমাকে অবগত করেছেন।

বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই বিষয়টি সুরাহা হবে বলে আশা করছি।

একুশে জার্নাল/ইএম