বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা সিলেট জেলা আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ইসলাহী ইজতেমা।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৯টায় সিলেট শহরের নয়াসড়ক জামে মসজিদে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, আওলাদে রাসূল, ফিদায়ে মিল্লাত মাওলানা সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী রহ.-এর খলিফা, শাইখুল হাদীস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ-এর উপস্থিতিতে আখেরি মোনাজাত পরিচালন করেন রংপুর ধনতলা মাদরাসার মুহতামিম ও আল্লামা মাসঊদের খলিফা মাওলানা হোসাইন আহমদ।

মোনাজাতের আগে ইসলাহী বয়ানে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, নবীজী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের মত ঈমানী চেতনা নিয়ে দ্বীনের জন্য কাজ করতে হবে।

কষ্ট-মুজাহাদার মধ্যেই ঈমানের স্বাদ উল্লেখ করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, দ্বীনের পথে দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে এবং দুনিয়ার সকল বিষয়ের উপর ইসলামকে প্রাধান্য দেয়ার মানসিকতা অর্জন করতে হবে। আসলে ঈমানের স্বাদ তো কষ্ট-মুজাহাদার মধ্যেই বিদ্যমান। যেমন, হযরত আইয়ুব আ., হযরত ঈবরাহিম আ., হযরত বেলাল হাবশি রা. কষ্টের মধ্যের ঈমানের প্রকৃত স্বাদ পেয়েছিলেন।

ইজতেমা শেষে বাড়িতে গিয়ে ইসলাহী ইজতেমার আমলগুলোর প্রতি যত্নবান থাকা কথা উল্লেখ করে আল্লামা মাসঊদ আগত মুসল্লীদের উদ্দেশে বলেন, ভাই! আমরা এখানে যেসব আমল করেছি, সেসব আমল যেন বাড়িতে গিয়ে ভুলে না যাই। আমাদের এই আমলগুলো যেন অভ্যাহত থাকে। আমরা এই আমলগুলো পরিবারের সবাইকে নিয়ে সবসময় করার চেষ্টা করবো। এই প্রতিজ্ঞা করি এখানে বসে থাকতেই।

ইসলাহী বয়ানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার মহাসচিব মাওলানা আব্দুর রহীম কাসেমী, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাইফী, মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, মাওলানা শোয়াইব আহমদ, হাফিজ আব্দুল্লাহ গাজীনগরী।

আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলাহী ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য সিলেট বারুতখানা মহিলা মাদরাসার মুহতামিম মুফতী আব্দুস সালাম, মাওলানা মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, হাফিজ মাওলানা মাসরুর আহমদ, মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির, মাওলানা আবুল হোসেন চতুলী, আরিফ রাব্বানী, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা সিলেট জেলা শাখার কর্মী মাওলানা নুরুল ইসলাম, দিদার হোসেন চোধুরি, শাহান সিদ্দিকি, মাওলানা মারুফ আল জাকির প্রমুখ।