হেফাজতে ইসলাম ইউরোপের প্রতিবাদ – বিক্ষোভ সভা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ২৩ ২০১৯, ০৬:৪৫

রাসূলের মর্যাদার প্রশ্নে কোন ঈমানদার নিরব থাকতে পারে না

একুশে জার্নাল ডেস্ক: আল্লাহ, রাসুল ও হজরত ফাতিমা রা. এর বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদে আগত রাসূলপ্রেমী জনতার উপর পুলিশের গুলি ও হত্যার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আহুত দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে হেফাজতে ইসলাম ইউরোপ শাখা মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) লন্ডনে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে
হেফাজতে ইসলাম ইউরোপ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউরোপের সভাপতি মুফতি শাহ সদরুদ্দিনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম ইউকের সভাপতি ও খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম ইউকের অন্যতম নেতা সালমন লেইন মসজিদের খতীব মুফতি মাওলানা হাফিজ হাসান নূরী চৌধুরী, বায়তুল মামুর মসজিদের খতীব হাফিজ আব্দুল কাদির ও বৃটেনের সর্বদলীয় উলামা সংগঠন বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকের মজলিসে কিয়াদাতের সদস্য মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম।

ইস্ট লন্ডনস্থ আলহুদা সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভা, আলহুদা একাডেমি ইভনিং মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও ইউ কে হেফাজত নেতা মাওলানা আনিসুর রহমানের পরিচালনায় এ প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম ইউ কে’র নেতা মাওলানা ফুজায়েল আহমদ নাজমুল, মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন, মাওলানা আমীরুল ইসলাম ও মাওলানা জয়নুল আবেদীন, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মি আমিনুর রশীদ, সাংবাদিক বদরুজ্জামান বাবুল এবং মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব আমিনুর চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ ভোলা বুরহানউদ্দিনে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানান।
তিনি মহানবীর বিরুদ্ধে কটুক্তিকারী এবং ঘটনার পেছনে ইন্ধনকারীদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে মুসলমান হওয়া কি কোন অপরাধ? প্রতিবাদ- বিক্ষোভ সমাবেশে বিনা উষ্কানীতে পুলিশ গুলি চালালো কার হুকুমে? পেছন থেকে ‘গুলি করুন’ ‘গুলি করুন’ বলে কে পুলিশকে হুকুম করছিল? সে কি ম্যাজিষ্ট্রেট নাকি কোন সুযোগসন্ধানী দুষ্কৃতিকারী, তার নাম প্রকাশ করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা কোর্টের রায়ে হতাশ হয়েছি। গুলি খেয়ে নিহত ও আহত মানুষের পক্ষে তদন্তের দাবী জানালে কোর্ট এ ব্যাপারে কোনরুপ হস্তক্ষেপ করবেনা বলায় জনগণের জন্য শেষ আশ্রয়স্থল বলে আর কিছু থাকলো না।

তিনি বলেন, রাসূলের মর্যাদার প্রশ্নে কোন মুসলমান নিরব থাকবে না। জুলুম এবং অন্যায্য হত্যার বিচার একদিন হবেই।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতি শাহ সদরুদ্দিন বলেন, রাসুলের ইজ্জতের পক্ষে যারা বুরহান উদ্দীনের ঈদগাহ মাঠে জমায়েত হলো তাদেরকে গুলি চালিয়ে যারা হত্যা করলো এরা নবীর দুশমন।

মুফতি সদরুদ্দিন আরও বলেন, এই সরকার মুসলমানদেরকে আজ বাংলাদেশে বৃহত্তম সংখ্যালঘুতে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, ভোলার শহীদানের পক্ষ থেকে বিচারের দাবী আমরা আল্লাহর কাছে জানালাম। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে সত্যকে চাপা দেয়ার দায় সংশ্লিষ্ট মহলকে একদিন বহন করতে হবে।

সভায় বক্তারা শহীদ পরিবারদের ক্ষতিপূরণ, আহতদের যথাযথ চিকিতসা এবং অজ্ঞাত পরিচয় পাঁচ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা ভৌতিক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানান।