বাবরী মসজিদ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ইউনাইটেড ইমাম এন্ড উলামা কাউন্সিলের বিক্ষোভ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

নভেম্বর ২৭ ২০১৯, ১৭:০৪

‘বাবরী মসজিদ জুডিশিয়াল সন্ত্রাসের শিকার। মুসলমানদের চারশ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক এই মসজিদটিকে বিচারিক প্রহসনের মাধ্যমে কেড়ে নিয়ে সেখানে রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়কে বিশ্ববিবেক ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারি মদদে প্রভাবিত প্রহসনের এই রায় শুধু ইন্ডিয়ার ৩৫ কোটি মুসলমানেরই নয়, বিশ্বের দেড়শ’ কোটি মুসলমানের মনে আঘাত করেছে।’

ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদের স্থলে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত ২৪ নভেম্বর রবিবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ইউনাইটেড ইমাম এন্ড উলামা কাউন্সিল’র প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা উপরুক্ত কথাগুলো বলেন।

কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাওলানা রফীক আহমদ রেফাহীর সভাপতিত্বে, এবং হাফিজ আহমদ আবু সুফিয়ান ও মুফতি ইসমাইল যৌথ পরিচালনায় সমাবেশের শুরুতে কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা আবুল খায়ের। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মাওলানা রশীদ জামীল।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আজির উদ্দিন, মাওলানা শায়খ আসাদ আহমদ, হাফিজ যুলকিফল চৌধুরী, হাফিজ মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম, মাওলানা কাজী আব্দুল কাইয়্যুম, মাওলানা ফয়সল জালালী, মাওলানা হামিদ আশরাফ, মাওলানা আবুল কাশেম ইয়াহিয়া, হাফিজ ওহী চৌধুরী, মাওলানা হাম্মাদ গাজীনগরী, মাওলানা মাসুক আহমদ, মাওলানা বিলাল হোসাইন।

সমাবেশে কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,
হেলাল আবু শেখ, আগা মোহাম্মদ সালেহ, মশতাক চৌধুরী, মইনুল ইসলাম, সুলতান আহমদ জসিম,
ওসমান গনী, আজিজুর রহমান এবং লুৎফুর রহমান।

অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা রশীদ আহমদ, মাওলানা হাফিজুল্লাহ, সুলতান আহমদ জসিম, হাজি মনির আহমদ প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে ইন্ডিয়া সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলাহয়, মুসলমানরা শান্ত এবং নম্র জাতি। মুসলমানরা কখনো অশান্তি চায় না। ইন্ডিয়ার তিন দশমিক তিন পাঁচ মিলিয়ন মুসলমান ইন্ডিয়ার মাটিকে সেদেশের হিন্দুদের থেকে মোটেও কম ভালবাসে না। এর কারণও আছে। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানরাই রক্ত দিয়েছিল। সঙ্গতকারণেই ভারতের মুসলমান তাদের দেশকে মন থেকে ভালবাসে। এই ভালবাসার প্রতিদান যদি তাদের কাছ থেকে তাদের মসজিদ কেড়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা শুধু নিমকহারামিই হবে না, একই সাথে দেশটির সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির জন্য হুমকির কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বক্তারা বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায় ও অসাংবিধানিক এবং একপেশে প্রভাবিত এই রায় শুধু মুসলমানদেরকেই নয়, ভারতের শান্তিপ্রিয় বিবেকবান হিন্দুদেরও বিস্মিত করেছে। তাদের অনেকেই কোর্টের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে কঠিনভাষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

বিষয়টির প্রতি নজর দেওয়ার জন্য সমাবেশ থেকে ইউনাইটেড ন্যাশনের প্রতি আহবান জানানো হয়।