৭ মার্চের ভাষণ ছিল অলিখিত, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ: হানিফ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ২৪ ২০১৮, ২১:৩৭

‘পৃথিবীর প্রতিটি ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল লিখিত ও দেখে দেখে পাঠ করা। কিন্তু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোরওয়ার্দী উদ্যানের রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে ঐতিহাসিক ভাষণ তা ছিল বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ।’ বলে মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়ার সদর আসনের সাংসদ জনাব মো: মাহবুবুল আলম হানিফ।

শনিবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স¦াধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী সভাপতিত্ব প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, ‘দীর্ঘ ১৯ মিনিটের যে ভাষণটি তা ছিল অলিখিত ও বঙ্গবন্ধু ধারাবাহিকভাবে সে ভাষণ দিয়ে গেছেন। তাঁর ভাষনে ছিল তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের বঞ্চনা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও শোষণের কথা পাশাপাশি ছিল তা থেকে মুক্তি পাবার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা। তাই জাতিসংঘের ইউনেস্কো ঘোষিত এই ভাষণ আজ বিশ্ব  ঐতিহ্যের প্রমাণ্য দলিল হিসাবে স্বীকৃত।  দীর্ঘ নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রামের সুনিদিষ্ট দিক-নির্দেশনা ও  ছিল ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে। তিনি বলেন স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর  আজও ৭ মার্চের ভাষণ বাংলার মানুষকে শিহরিত করে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুল হাই বলেন, ‘মার্চ মাসটি সবদিক দিয়েই বাংলাদেশের মানুষের কাছে গুরুত্বপুর্ণ। এই মাসের ৩ তারিখে সারা দেশে প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়। ১৭ মার্চ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহন করেন। তাঁর হাত ধরেই বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এদেশ স্বাধীনতা পায় একটি জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত পায়।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে আজ আলাদা ভুখন্ড হিসাবে জায়গা করে নিতে পেরেছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উপনীত হয়েছে। তিনি বলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী, বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানের জন্য সরকার ঘোষিত ভিশন ২০-২১ এবং রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন হলে অচিরেই বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।’

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, স্বাগত বক্তা ছিলেন মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপ-কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. মাহবুবল আরফিন,  অধ্যাপক ড. জাকাারিয়া রহমান, অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, অধ্যাপক ড. মেহের আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান ও তিয়াশা চাকমা।