একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ০৫ ২০১৮, ০০:২১

একুশে জার্নাল: ৬ মে’র ভয়াল রাতের কথা স্মরণ হলে গা শিউরে ওঠে। দুঃখ আর কষ্টে চোখ ভিজে যায় জলে। ঘৃণা আর অভিশাপ দিতে মন চায় ওই জালেমদের ওপর যারা আমার ভাইদের অন্যায়ভাবে হত্যা করে সরকারের বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছিল। একটি মুসলিম প্রধান দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা রাষ্ট্র কর্তৃক এমন অমানবিক নির্যাতনের শিকার হবেন ভাবতে অবাক লাগে। প্রবাসে থাকার কারণে সেদিন রাজধানীর শাপলা চত্বরে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। তবে বৃটেনে বসে দিগন্ত টিভিতে লাইভ দেখছিলাম মধ্যরাত পর্যন্ত। শাপলা চত্বরের সেই বিভীষিকাময় পরিস্থিতি দেখে দ্বীনি ভাইদের জন্য হাউমাউ করে কেদে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করা ছাড়া আর কিছু করার উপায় ছিলনা।

যখন দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভির লাইভ সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হল তখনই মনে হল জালেম আওয়ামীলীগ সরকারের পেটুয়া বাহিনী আমার ভাইদের নির্মমভাবে শেষ করে দিচ্ছে। ভাবনা ঠিকই সত্য হল। শেষরাতে ঢাকায় পরিচিতজনদের সাথে টেলিফোনে কথা বলে জানতে পারি লাখো গুলির আঘাতে বিধ্বস্ত ও বিরান করে দেয়া হয়েছে শাপলা চত্বরকে। খুনের দরিয়া আর লাশের স্তুপে গোটা শাপলা চত্বর পরিণত হয়েছে এক মৃতপুরিতে।

উল্লেখ্য যে, দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবি আদায়ে ২০১৩ সালের ৫মে রোববার, ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর সেতু, যাত্রাবাড়ী থেকে ডেমরা সেতু, পোস্তগোলা বুড়িগঙ্গা সেতু, পুরনো ঢাকার বাবুবাজার সেতু, আবদুল্লাহপুর-টঙ্গী সেতু এবং আমিনবাজারের বলিয়ারপুর, রাজধানীর এই ছয়টি পয়েন্টে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা অবস্থান গ্রহণ করে। ভোর থেকে রাজধানী পুরোটাই দখলে ছিল হেফাজত নেতাকর্মীদের। দৃষ্টি যতদূর গিয়েছিল শুধু লাল-সবুজের জাতীয় আর কালেমা খচিত পতাকা ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি। সেদিন রাজধানী ঢাকা কার্যত সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।

ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন শেষে রাতে মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয় হেফাজত নেতাকর্মীরা। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ চলছিল। সাথে চলছিল যিকিরও। এমনই মুহুর্তে শেখ হাসিনার সরকারের হুকুমে দশ হাজার পেটুয়া বাহীনির সদস্য শাপলা চত্বরে অবস্থানরত হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জিম্মি করে ইলেকট্রিসিটি বন্ধ করে রাতের অন্ধকারে কাপুরুষের মতো সন্ত্রাসী স্টাইলে অপারেশন চালায়। বিভিন্ন ধরনের দেশী বিদেশী অস্ত্র প্রয়োগ করা হয় হেফাজতে ইসলামের নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর। অসংখ্য হেফাজত কর্মী প্রাণ হারান। রাত পোহাবার পূর্বেই হেফাজত কর্মীদের লাশগুলো অত্যন্ত কৌশলে গুম করা হয়। আজও ওই লাশগুলোর কোন হদিস মিলেনি। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে ওই রাতে গুলি আর লাঠির আঘাতে পঙ্গু করে দেয়া হয়। শত শত নেতাকর্মীকে কারাগারে বন্দী করা হয়। হেফাজত নেতাকর্মীদের উপর জালেম আ’লীগ সরকার কর্তৃক ইতিহাসের এ জঘন্যতম অপারেশন জাতি কখনো ভুলতে পারে না।

৬ মে সোমবার, রাত ৮টার দিকে লালবাগ এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরের দিন মঙ্গলবার পুলিশ তাকে ৯দিনের রিমান্ডে নেয়। অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্রকরে পুলিশ ১৬টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা হেফাজতে ইসলামের লক্ষাধিক নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।

সরকারের রোষানলে পড়ে হেফাজতে ইসলাম যেন বিধ্বস্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ৬মে’ মধ্যরাতের পরথেকে হেফাজত নেতাকর্মীরা যেন এক কঠিন সময় পার করে। আন্দোলন করা তো দূরের কথা কেউ বাসা বাড়ীতে শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে প্রায় সব নেতাই ছিলেন আত্মগোপনে। দুঃখজনক হলেও সত্য, হেফাজত নেতাকর্মীদের এই দুর্দিনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে পাশে পাওয়া যায়নি। অথচ ৫মে রাত ১২টার আগমুহূর্ত পর্যন্ত হেফাজতের কর্মসূচিকে রাজনৈতিকভাবে নিজেদের অনুকূলে নিতে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। হেফাজতের কর্মসূচি থেকে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে তাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না। তারা মনে করেছিল হেফাজতে ইসলামেরে কঠোর কর্মসূচি সফলের মধ্যদিয়ে ৬মে সরকারের পতন হয়ে যাবে। এ চিন্তা থেকেই ৫মে হেফাজতের সমাবেশ চলাকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হেফাজতের পাশে থাকতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকাও ঘোষণা করেন, ‘হেফাজতের নেতাকর্মীদের বাধা দিলে বিএনপি নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকবে না।’ কিন্তু কই? অবশেষে আমরা দেখি, হেফাজতকর্মীদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েও কথা রাখেনি বিএনপি। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশও মানেনি তারা কেউ।

হেফাজতের সমাবেশে দিনভর তুমুল সংঘর্ষ আর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ইতিহাসের জঘন্যতম অপারেশন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিবেককে একটুও নাড়া দেয়নি। হেফাজতে ইসলামের পাশে দাঁড়াতে তাদেরকে দেখা যায়নি। এমনকি তাদের শীর্ষ নেতারা নির্যাতিত হেফাজত নেতাদের খোঁজখবর পর্যন্ত নেননি বলে জানা যায়। তবে গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিবৃতি আসে পত্রিকায়। হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচি কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ছিল এ কর্মসূচি। শাপলা চত্বরের গণহত্যার প্রতিবাদে বিএনপি ও জামায়েতে ইসলামীকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে হলেও কঠিন কর্মসূচি দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা দেননি। অথচ ৯মে বৃহস্পতিবার, আদালত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় ঘোষণা করলে জামায়াতে ইসলামী ঠিকই তাদের দলের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে ১১মে রোববার, সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে।

আজকে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারের সাথে আতাতের অভিযোগ তুলে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে সমালোচনা করতে দেখা যায়। তাদের সমালোচনা দেখলে মনে হয় হেফাজতে ইসলাম তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি হয়ে আছে। হেফাজতে ইসলামের কাধে সওয়ার হয়ে এখনো ক্ষমতায় বসার স্বপ্ন দেখছেন তাদের নেতারা। আমি মনে করি যারা এমন স্বপ্ন দেখছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। কারণ, আন্দোলনের শুরু থেকেই হেফাজতে ইসলাম বলে আসছে যে, “কাউকে ক্ষমতা থেকে সরানো কিংবা বসানোর জন্য আমাদের আন্দোলন নয়। আমাদের আন্দোলন হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে।” হেফাজতে ইসলামের বক্তব্যে কোন ধরনের অস্পষ্টতা ছিল না। তাদের বক্তব্য ছিল অত্যন্ত স্পষ্ট।

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সাথে হেফাজতে ইসলামের যেমন কোন আতাত হয়নি, তেমিনি আ’লীগ সরকারের সাথেও কোন আতাত হয়নি। গত ১১ এপ্রিল ২০১৭ গণভবনে দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামদের এক অনুষ্ঠানে কওমী সনদের সরকারী স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে হেফাজতে ইসলামের আমীরসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। গণভবনের এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যারা সরকারের সাথে হেফাজতের আতাতের অভিযোগ তুলছেন তারা আসলেই রাজনৈতিকভাবে অসুস্থ। কওমী সনদের স্বীকৃতি কারো করুণা নয়, এটা ছাত্র সমাজের অধিকার। কওমী সনদের স্বীকৃতির সাথে শাপলা চত্বরের গণহত্যার নুন্যতম সম্পর্ক নেই।

কওমী সনদের স্বীকৃতি ৬মে শাপলা চত্বরের গণহত্যাকে ভুলিয়ে রাখতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য জাতি ভুলে যায়নি। এ বক্তব্য হেফাজত কর্মীদের হৃদয়ে ভাল করে গেঁথে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে শাপলা চত্বরের গণহত্যা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “শাপলা চত্বরে আমরা গোলাগুলি করিনি। হেফাজত কর্মীরা রং মেখে শুয়েছিলো।” একজন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে এমন মিথ্যাচার করবেন তা কল্পনা করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে জাতি তার মিথ্যাচার প্রত্যাখান করে সিলেট, খুলনাসহ দেশের প্রায় সবকটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে উচিত জবাব দিয়েছিল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হলে এমন একটি কঠিন জবাবও শেখ হাসিনার জন্য অপেক্ষা করছে।

দীর্ঘ কয়েক যুগ পরেও যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে পেরেছে, কয়েক যুগ পরেও যদি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচার হতে পেরেছে তাহলে অসংখ্য হেফাজত কর্মী হত্যার বিচার হতে পারবে না কেন? ক্ষমতা ও সময়ের পরিবর্তনে অবশ্যই একদিন বাংলাদেশের মাটিতে শাপলা চত্বরের গণহত্যার বিচার হবে ইনশাআল্লাহ। শাপলা চত্বরের শত শত নেতাকর্মীর শাহাদাত, হাজার হাজার নেতাকর্মীর পঙ্গুত্ব বরণ আর অসংখ্য নেতাকর্মীর কারাগারের বন্দিত্ব জীবন ইতিহাসের পাতায় সোনালী হরফে লেখা থাকবে। যুগ যুগ ধরে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের প্রেরণা যোগাবে।

রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অনেকেই বলেন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ব্যার্থ হয়েছে। শাপলা চত্বরের গণহত্যার পরও কঠিন কোন কর্মসূচী দিতে পারেনি হেফাজত। আমি মনে করি তাদের এ মন্তব্য সঠিক নয়। হেফাজতকে ব্যার্থ বললে বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলনকে কি বলতে হবে? বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামীর মতো রাজনৈতিক দল আজ প্রায় এক দশকের কাছাকাছি সময় থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করছে সরকার পতনের। কিন্তু সরকারের টনক নাড়াতে পারছে না। বিএনপি জামায়াতের কিসের অভাব আছে? পয়সা, ক্যাডার, অস্ত্র সবই আছে। কিন্তু কেন তারা সরকারের সাথে লড়াই করে জিততে পারছে না? তাদের দলের শীর্ষ নেতারা কারাগারে জীবনযাপন করছেন। আন্দোলন করে তাদের মুক্ত করতে পারছে না কেন?

জেনে রাখা উচিত, হেফাজতে ইসলাম ক্ষমতা দখল কিংবা সরকার পতনের কোন কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামেনি। হেফাজতের আন্দোলন ছিল নিছক ধর্মীয় ইস্যুতে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থেকে নেমে গেলেই যে হেফাজতের আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। এ আন্দোলন আগামীতেও যারা ক্ষমতায় আসবে তাদের বিরুদ্ধেও হয়তো করতে হবে। কারণ আপাততঃ দেশে ইসলামী সরকার আসার কোন সম্ভাবনা নেই। যারাই ক্ষমতায় আসবে তারা কমবেশি শেখ হাসিনা সরকারের আদর্শের কাছাকাছি থাকবে। অতীত তাই সাক্ষী দেয়।

আমি মনে করি, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ব্যার্থ হয়নি। এ আন্দোলন নাস্তিকদের এ কথা জানান দিয়ে গেছে যে, ইসলামের বিরুদ্ধে কলম চালালে তোমাদের কলম ভেঙ্গে দেয়া হবে। ইসলাম বিদ্বেষীদের জানান দিয়ে গেছে যে, জবান দিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে আঘাত করলে তোমাদের জিহ্বা টেনে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। সরকারকে জানান দিয়ে গেছে যে, কওমী মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার শেকড় অনেক গভীরে। একে ‘ফু’ দিয়ে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। ইসলামের বিরুদ্ধে যখনই আঘাত আসবে কওমী গোষ্ঠী জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। কোন নেতাই চান না যে, হেফাজতে ইসলাম রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হোক। রাজনৈতিক কর্মসূচী নিয়ে মাঠে থাকুক। সব নেতারাই চান হেফাজতে ইসলাম তার জায়গায় থাকুক। যে উদ্দেশ্যে জন্মেছিল সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আপোষহীন লড়াই চালিয়ে যাক। এখন পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামকে আমরা সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত দেখতে পাচ্ছি। আগামীতেও পাব এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

হেফাজতে ইসলাম দ্বীনে ইসলামের জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে একথা অস্বীকার করার উপায় নেই। দলমত নির্বিশেষে সবাই এ সংগঠনকে সর্বক্ষেত্রে সাপোর্ট দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। আসুন! রাজনৈতিক অসুস্থতা থেকে মুক্ত হয়ে দেশ, জাতি ও ইসলামের কল্যাণে হেফাজতের ১৩ দফা দাবী আদায়ের আন্দোলনকে জোরদার করি। একটি উন্নত জাতি গঠনে হেফাজতের ১৩ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।