হক্বের পথে ফিরে আসার এই সুন্দর ছবি স্মরণীয় হয়ে থাকুক

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ০৯ ২০২১, ২২:১৪

সৈয়দ শামছুল হুদা: ড. জাফরুল্লাহ স্যার জীবন সায়াহ্নে এসে এটা অনুভব করতে পারছেন যে, তিনি দ্বীনি বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন না। ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেবের সাথে একটি সংলাপে যাওয়ার পর থেকেই উনার ভেতরে এই অনুভুতি জাগ্রত হয়েছে যে, ইসলাম বিষয়ে, কুরআন ও হাদীস বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাননি। আর এ কারণে অনেক সময় লব্দ জ্ঞানের আলোকে ইসলামের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। কিন্তু তিনি একজন প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ। যখনই একজন ভালো আলেমের সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়েছেন তখনই তিনি তাঁর ঘাটতিটা বুঝে নিয়েছেন।

সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে জানতে পারছি যে, তিনি এই বয়সে এসে কুরআন শিখা শুরু করেছেন। সুন্দরমতো অজু করে এ তেলাওয়াত শুরু করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। এটা বড় একটি খুশির সংবাদ। আমাদের পরম চাওয়া উনাদের মতো বড় বড় ব্যক্তিদের ভেতরে এ অনুভূতি জাগ্রত হওয়া যে, আসলে দ্বীন শিখার কোন ভালো পরিবেশে উনারা যেতে পারেননি। এই অনুভূতিটা উনাদের মধ্যে জাগলে আগামী প্রজন্মের জন্য ভালো হবে।

দেশে এমন অসংখ্য জ্ঞানী-গুণী আছে, যারা দ্বীন শিক্ষার কোন পরিবেশে যাওয়ার সুযোগ পাননি। ফলে এদেরকে অনেকে বিভ্রান্ত করেছে। কেউ কেউ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে জীবনটাই কাটিয়ে দিয়েছে। উনাদের মতো বড় বড় ব্যক্তিদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য যে ধরণের পদ্ধতি আলেমদের একটি ক্ষুদ্র অংশের গ্রহন করার দরকার ছিল সেটা এতদিন হয় নাই। আমরা উনাদের ভুল মন্তব্য দেখে শুধু গালিগালাজই করেছি। উনাদের মতো মহান ব্যক্তিদের ঘাড় ধরে জাহান্নামের টিকিট কনফার্ম করে দেওয়ার আপত্তিকর চেষ্টা করেছি।

যে বা যারাই উনার এই ফিরে আসার পেছনে মেহনত করেছেন, তাদের সকলের প্রতি বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়াল মুভমেন্ট বিআইএম এর পক্ষ থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ। আপনারা ভালো একটা কাজ করেছেন। এভাবে দেশে আরো অনেক বড় বড় ব্যক্তি আছে, আসলে তারা নাস্তিক, মুরতাদ না। উনারা দ্বীন কাকে বলে জানেনই না। কারণ এর জন্য আমাদের দেশের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা দায়ী। একটি কুচক্রী মহল আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে দিন দিন দ্বীনি শিক্ষাকে সংকোচিত করে দিচ্ছে। বিতর্কিত করে দিচ্ছে।

দেশের সুশীল সমাজের মধ্যে কাজ করার জন্য একদল আলেম এর এগিয়ে আসা সময়ের অন্যতম দাবী।