স্বয়ং বঙ্গবন্ধুও নিজ কন্যাকে গার্লস স্কুলেই নিরাপদ মনে করেছেন -আল্লামা মামুনুল হক

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জানুয়ারি ১৩ ২০১৯, ০৬:৫৬

ইলিয়াস সারোয়ার: নারীদের পৃথক শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলা ও পৃথক কর্মক্ষেত্র তৈরি করে সেখানে পুরোপুরি নারীদেরকে সুযোগদানের দাবি জানিয়েছেন আল্লামা মামুনুল হক ৷

তিনি বলেন, স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও নিজ কন্যাকে গার্লস স্কুলে পড়ানোকেই নিরাপদ মনে করেছেন ৷ আপন মেয়েকে সহশিক্ষাব্যবস্থায় পড়াননি ৷ শেখ হাসিনাকে তিনি আজিমপুর গার্লস স্কুল ও ইডেন মহিলা কলেজে পড়িয়েছেন ৷ ঢাকা কলেজে পড়াননি ৷ এ থেকেই বুঝা যায়, নারীদের পৃথক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ৷ বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শ বাস্তবায়ন করুন! তাহলে আল্লামা আহমদ শফী স্কুল কলেজে কম পড়াতে বা না পড়াতে বলবেন না ৷ আমরা নারী শিক্ষার বিরোধী নই, বরং আমরা নারীদের আরও বেশি শিক্ষাদানে উৎসাহী ৷ তবে শিক্ষাকেন্দ্রে তাদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে ৷ ইজ্জত ও জীবনের নিরাপত্তা না পাওয়া গেলে সেখানে নিজ মেয়েদের পড়ানোর মত আগ্রহ কারোরই থাকবে না ৷

তিনি আরো বলেন, নারীদেরকে কর্মক্ষেত্রে মাত্র ৩০% সুযোগদান করা ইনসাফ নয়, এটা বরং তাদের উপর জুলুম করার নামান্তর ৷ আমরা এটা ৫০% করার দাবি জানাতে চাই ৷

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার জামিয়া হোসাইনিয়া দারুল উলূম মাঝিয়াইলে গতকাল অনুষ্ঠিত বার্ষিক বড় সভায় প্ৰধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ৷

আল্লামা মামুনুল হক বলেন, নারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সারা দেশের চালু সব শিক্ষাকেন্দ্রের অর্ধেক শুধু ছেলেদের জন্য আর বাকি অর্ধেক শুধু মেয়েদের জন্য প্রস্তুত করতে হবে ৷ সারাদেশে অর্ধেক হতে হবে বয়েজ স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি আর বাকি অর্ধেক গার্লস স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি ৷ গার্লস স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটিগুলোর সকল শিক্ষক ও স্টাফ হতে হবে শুধুই নারী ৷

এ দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে তিনি বলেন, নারী প্রধানমন্ত্রী ২৭ বছর ধরে বাংলাদেশের মত একটি দেশ চালাতে পারলে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি চালাতে পারবে না কেন? নারী স্পিকার, নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, নারী শিক্ষামন্ত্রী হয়ে বিশাল মন্ত্রণালয় চালাতে পারলে শিক্ষাকেন্দ্র ও কলকারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানও চালাতে পারবে ৷ তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক পৃথক ছেলে ও মেয়ে শাখা বিদ্যমান ৷ মেয়ে শাখার চৌহদ্দিতে কখনওই কোন পুরুষ প্রবেশ করতে পারে না ৷ উম্মুল কোরাকে মডেল ধরে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পৃথক দুই শাখায় রূপান্তরিত করুন! এমনটি করা হলে নারীদের নিরাপত্তা বাড়বে ৷ ধর্ষণ, নিপীড়ন, যৌন হয়রানি ও ইভটিজিং কমে যাবে ৷ সরকার নারীদের প্রতি সত্যিকারার্থেই যদি দরদী হয়ে থাকে তাহলে এই দাবি বাস্তবায়ন করে দেখাক ৷ অন্যথায় প্রমাণিত হবে যে, সরকার নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তরিক নয় ৷