সিলেটের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়ক পুকুরের মতো গর্ত হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত 

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ২৭ ২০২১, ১১:৪২

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি: সীমাহীন জনদূর্ভোগের অপর নাম হচ্ছে সিলেটের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়ক! জনবহুল এই সড়কে পুকুরের মতো গর্তের সৃষ্ঠি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ যেনো দেখার কেউ নেই। জনসাধারণের মুখে শুধু দুর্ভোগের বাণী শোনা গেলেও কোন মাথাব্যাথা নেই কর্তৃপক্ষের।

দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের বাগিচা বাজার থেকে পীরের বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে পুকুরের মতো গর্ত হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তার পরেও নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাটুজলে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীবাহী ও মালবাহীসহ সকল প্রকারের যানবাহন। তিনমাস ধরে চলমান কাজ বন্ধ থাকায় এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছেন জনসাধারণ।

এছাড়াও বিশ্বনাথ সদর থেকে বাগিচা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে প্রায় তিনমাস পূর্বে। মাত্র তিন মাসের ভেতরে এই সংস্কারকৃত অংশেরও বিভিন্নস্থানে ভাঙন ধরে বড় বড় গর্তের সৃষ্ঠি হয়েছে। এতে নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই। তবে এই সংস্কারকৃত অংশের কালিগঞ্জ বাজারের সেতুর পশ্চিম মুখ থেকে দতা নামক স্থান পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার কাজ করার বাকি রয়েছে। দুর্ভোগ, সময় ব্যয় আর অতিরিক্ত গাড়িভাড়া দিয়ে জনসাধারণ দিচ্ছেন ঠিকাদারের ধীরগতির কাজের মাশুল।

জানা যায়, বিশ মাস পূর্বে ২০২০সালের ডিসেম্বর মাসে বিশ্বনাথ সদর থেকে জগন্নাথপুর সীমানা পর্যন্ত প্রায়ন ২৩ কোটি টাকায় ১৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও প্রসস্থকরণ কাজ শুরু করা হয়। গত ১০ মে এই কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু বাগিচা বাজার থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার সংস্কার কাজ এখনও বাকি রয়েছে। তার মধ্যে ঠিকাদারকে ৬/৭ কোটি টাকা বিলও পরিশোধ করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রকৌশলী সুত্রে জানাগেছে।

এছড়াও কাজের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান। কিন্তু সংস্কারের বাকি অংশের কাজ না করে তিনটি মাস ধরে ঠিকাদার আছেন ঘুমে। আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছেন জনসাধারণ।

এব্যপারে কথা হলে সাব ঠিকাদার সুহেল খান তিন মাস ধরে কাজ বন্ধের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি বর্তমানে শরিয়তপুর গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। আগামি সপ্তাহে কাজ ধরবেন বলে জানান।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদ বলেন, গত সোমবার সিলেটে মাসিক সভায় এবিষয়ে কথা হয়েছে। কিছু দিনের ভেতরে কাজ শুরু করার আশ্বাস দেন তিনি।