সা’দপন্থীদের চক্রান্তে অপসারিত বারিধারা সেন্ট্রাল মসজিদের খতীব “মুফতি মনোয়ার হোসাইন”

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০৯ ২০১৮, ১৪:৪০

টঙ্গী ময়দানে হত্যা ও তাণ্ডব চালানো মাওলানা সা’দ সাহেবের চক্রান্তের শিকার হয়েছেন বিশিষ্ট আলিম-ই দ্বীন, নন্দিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বাইতুল আতীক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিয মাওলানা মুফতি মনোয়ার হোসেন।

ইজতেমা মাঠ প্রস্তুত করবার কাজে নিযুক্ত উলামা ও মাদরাসা ছাত্রদের ওপর সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ও নৃশংস হামলার প্রতিবাদে গঠনমূলক আলোচনা করে মুফতি মনোয়ারের একটি ভিডিও ফেইসবুকে আপলোড করেন। ভিডিওটি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে খেপে ওঠে স্থানীয় সা’দপন্থী এতায়াতীরা।

প্রথমে তারা তাঁকে মুঠোফোনে হুমকি ও যাচ্ছেতাই গালাগাল করে। তখন মুফতি মনোয়ার হুমকিদাতা সা’দপন্থীদের ইশারা করে ওই ভিডিওর লিংকসহ এক ফেইসবুক পোস্টে দুঃখ করে বলেন, “প্রতিটি মসজিদে এ গ্রুপটি মারমুখী হয়ে উঠছে। আল্লাহ যেন আলিমদের হেফাযত করেন।”

ততক্ষণে কুচক্রীরা সংগঠিত হয়ে তাঁর বক্তৃতামালার কিছু কিছু অংশ কেটে নিয়ে বারিধারা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির সামনে তুলে ধরে মুফতি মনোয়ারকে তাৎক্ষণিক অপসারণের জন্যে চাপ প্রয়োগ করে। তারা অভিযোগ রটায়, মুফতি মনোয়ার তাবলীগ জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন এবং অব্যাহত বক্তৃতা-লেখনীর মাধ্যমে ওই এলাকার সকল মসজিদে তাবলীগ জামায়াতের আনাগোনা বন্ধের ষড়যন্ত্র করেছেন।

এদের চাপে নতি স্বীকার করে মসজিদ কমিটির সভাপতি মুফতি মনোয়ারকে তাঁর ওপর আনীত অভিযোগ ব্যাখ্যা করার সুযোগ না দিয়ে এবং নিয়োগ-অব্যাহতি সংক্রান্ত নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করেই সা’দপন্থীদের দাবি অনুযায়ী তৎক্ষণাৎ তাঁকে অপসারণের ঘোষণা দেন।

আচমকা এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের মধ্যে এবং ওয়াকিফহাল আলিমসমাজে ব্যাপক ক্ষোভ ও চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে মুফতি মনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন: “কেবল চাকরির নয়, প্রশ্নটা মূলত ইনসাফ, আদর্শ ও মর্যাদার প্রশ্ন। নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে কোনো মুসলিম কখনো মাথা নত করতে পারে না। ফলে আমি এ অন্যায়ের প্রতিকার চাই। সেজন্যে আমি এ ব্যাপারে দেশের আলিমসমাজ, প্রশাসন এবং তাবলীগের মূল ধারার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”