সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী এবং সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী: একটি তুলনামূলক পাঠ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ১৮ ২০১৯, ২০:০৯

মনোয়ার শামসী সাখাওয়াত {}

বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মওদূদী এবং নাদভীর অভিমত এখানে পরপর সংক্ষেপে উপস্থাপন করে দুজনের চিন্তার মিল এবং অমিল খুঁজে দেখব আমরা। লেখাটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকবে। আজকে দুটি বিষয় — ইসলামী রাষ্ট্র ও কুর’আনের চার বুনিয়াদী ধারণা — সম্পর্কে দুজনের মতামত উপস্থাপিত হল।

১. ইসলামী রাষ্ট্র প্রসঙ্গে

মওদূদী – মওদূদীর কাছে ইসলামের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হল ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব কায়েম করা; এক্ষেত্রে তিনি তার প্রতিষ্ঠিত দল জামায়াতে ইসলামীকে ইসলামী বিপ্লবের একটি অগ্রবর্তী দল হিশেবে দেখতে চেয়েছেন। এজন্যে তিনি তরুণ প্রজন্মকে যুক্তি দিয়ে ইসলামী ব্যবস্থার উৎকর্ষ বোঝাবার কথা বলেছিলেন। তিনি মনে করতেন যে অন্যান্য ব্যবস্থা যেমন ধনতন্ত্র, সাম্রাজ্যবাদ, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও জাতি-রাষ্ট্র হল বিভিন্ন মানব রচিত একক বা সামষ্টিক তত্ত্ব যার সবই আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে। ফলে এগুলি সবই ইসলাম ও মানবতা বিরোধী। তিনি মনে করতেন যে সংগ্রাম এবং বিপ্লবের মূল নিহিত রয়েছে দ্বীন বা ধর্মে; অর্থনীতি, রাজনীতি বা সংস্কৃতিতে নয়। এজন্য তিনি চলতি ব্যবস্থা প্রতিস্থাপনের লক্ষে বিকল্প শাসন ব্যবস্থা হিশেবে দিব্য-গণতন্ত্রের ধারণা প্রস্তাব করেছিলেন।

নাদভী – নাদভী ইসলামী শাসন বলতে যা বুঝেছেন তা সহিংস পন্থায় অর্জন করাকে তিনি উৎসাহিত করেননি; তিনি ইসলামের সত্য অনুসারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার কথা বলেছেন এবং সেইসঙ্গে শাসকদের সংস্কারের কথাও বলেছেন। তিনি সামাজিক সংস্কার, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পুনর্জাগরণের পক্ষে কথা বলেছেন কিন্তু ইসলামী বিপ্লবের কথা বলেননি। তিনি মওদূদীর তীব্র সমালোচনা করেছেন এই কারণে যে মওদূদী বলেছিলেন যে আল্লাহ নবী রাসুলদের দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার মিশন দিয়ে। নাদভী মনে করতেন এটা নবী রাসুলদের মিশনকে ভুল বোঝার নামান্তর। তিনি বলেছেন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা মানেই দ্বীন বা ধর্ম প্রতিষ্ঠা নয়; ইসলামী রাষ্ট্র সম্পূর্ণ ইসলাম নয় বা ইসলামের মূল লক্ষ্য নয়; এটিকে বরঞ্চ সম্পূর্ণ ইসলাম প্রতিষ্ঠার একটি উপায় হিশেবে দেখতে হবে। অর্থাৎ এটাই এন্ড নয় এটা হল মীনস।

২. কুর’আনের চার বুনিয়াদী ধারণা প্রসঙ্গে

মওদূদী — মওদূদী ইসলামের একটি রাজনৈতিক ভাষ্য রচনা করেছিলেন। এই ভাষ্যের মৌলিক ভিত্তি হল কুর’আনের চারটি মৌল প্রত্যয় – ইলাহ, রব, ইবাদাত এবং দ্বীন। কুর’আনের এই চারটি মৌল প্রত্যয়ের সংজ্ঞা তিনি দিয়েছিলেন তাঁর বিখ্যাত ‘কুর’আনকি চার বুনিয়াদী ইসতিলাহে’ গ্রন্থে। এখানে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল তিনি মনে করতেন যে এই চারটি প্রত্যয়ের প্রকৃত অর্থ কেবলমাত্র জাহিলিয়া পরবর্তী আরবরা ঠিকঠাক বুঝতে পেরেছিল। অর্থাৎ রাসুল (স.)-এর সময়কালে এই চারটি ধারণাকে যেভাবে আরবরা বুঝতে পেরেছিল পরবর্তীকালের মুসলিমরা আর সেভাবে বোঝেনি। এই ধারণাগুলির প্রকৃত অর্থ অনেকদিন ধরে মুসলিমদের বোধশক্তির আড়ালে চলে গেছে বলে মওদূদী মনে করতেন।

যেমন মওদূদী বলছেন যে ইলাহ বলতে বোঝায় একমাত্র আল্লাহকে, একমাত্র আল্লাহর কর্তৃত্বকে; ইলাহ বলতে শুধু মূর্তি বোঝায় না; আপনি যদি আল্লাহকে মেনে নিয়ে মূর্তিপূজা না করেও যদি এমন কোন ব্যক্তি, বিধি-বিধান ও ব্যবস্থাকে আল্লাহর কর্তৃত্বের স্থানে স্থাপন করেন তাহলে সেগুলিও ইলাহ বলে বিবেচিত হবে; অর্থাৎ সেক্ষেত্রে আপনি আল্লাহকে একমাত্র সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব হিশেবে মেনে নিয়ে সবরকম মূর্তিপূজা বা শয়তানের উপাসনা থেকে বিরত থাকবার পরেও আল্লাহ ছাড়া অন্য ইলাহের আনুগত্য করছেন; অর্থাৎ আপনি শিরক করছেন।

একইভাবে রব বলতেও বোঝায় একমাত্র আল্লাহকে; অর্থাৎ আল্লাহ হচ্ছেন একমাত্র রব বা প্রতিপালক; কিন্তু রব বলতে শুধু কোন মূর্তি বা পুতুলকে অস্বীকার করাই যথেষ্ট নয়; আপনি যদি আল্লাহকে একমাত্র রব বা প্রতিপালক হিশেবে মেনে নিয়েও এমন কোন ব্যক্তি, বিধি-বিধান ও ব্যবস্থাকে আল্লাহর প্রতিপালক সত্তার সমান্তরাল বিকল্প হিশেবে প্রকারান্তরে মেনে নিতে থাকেন তাহলেও আপনি শিরক বা অংশীদারিত্ব করছেন।

এক্ষেত্রে আপনার ইবাদাতও সঠিক হবে না; আপনার ইবাদাত শুধু কিছু রিচুয়াল পালনে সীমিত হয়ে পড়বে; অথচ আপনি আল্লাহর পাশাপাশি ভিন্ন কর্তৃত্বকে (ব্যক্তি, বিধি-বিধান ও ব্যবস্থা) আপনার অজান্তে ইবাদাত করতে থাকবেন; আপনি এভাবে তাগুতের আব্দ হয়ে যাবেন; শিরক বা অংশীদারিত্বের মধ্যে পড়ে যাবেন।

এর ফলে আপনি আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন হিশাবে ইসলামকে গ্রহণ করেও বিভিন্ন অনৈসলামী দ্বীনের অনুশীলন সমান্তরালভাবে করতে থাকবেন। অর্থাৎ আপনি দ্বীন হিশেবে ইসলামকে গ্রহণ করে শাহাদা ঘোষণা করেও যদি একমাত্র দ্বীন ইসলামের পাশাপাশি অন্য বিধি-বিধান ও ব্যবস্থাকে অনুসরণ করতে থাকেন তাহলে আপনি আংশিকভাবে অন্য দ্বীনের অনুসারী হয়ে পড়বেন; এক্ষেত্রেও আপনি শিরক বা অংশীদারিত্বের শিকার হচ্ছেন।

অর্থাৎ মওদূদী ইলাহ, রব, ইবাদাত এবং দ্বীনের এক ব্যাপক সংজ্ঞায়ন করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি আল্লাহর হাকিমিয়া বা সার্বভৌমত্ব ও কর্তৃত্ব দিয়ে মানুষের সঙ্গে আল্লাহর সম্পর্ক বা ইবাদাতকে যেমন ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন ঠিক তেমনিভাবে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বা মু’আমালাতকেও দেখতে চেয়েছেন। কুর’আনের এই চারটি মৌল প্রত্যয়ের যে ব্যাপক সংজ্ঞা তিনি তার ভাষ্যে উপস্থাপন করলেন এর ভিত্তিতেই তিনি তার ইসলামি রাষ্ট্রের প্রত্যয়-প্রকল্প পেশ করেছিলেন। একমাত্র ইলাহ ও রব হিশেবে আল্লাহর হাকিমিয়া বা সার্বভৌমত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করাই হল দ্বীনের প্রতিষ্ঠা (ইকামাতে দ্বীন)। আর এই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়মিত প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ হল ইবাদাতের উদ্দেশ্য। ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে শরিয়া ভিত্তিক ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পাবে এবং সেখান থেকে সমগ্র দুনিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়বে এবং খিলাফায় রূপ নেবে।

নাদভী – নাদভী ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত মওদূদী এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে নিজেকে জড়িয়েছিলেন। তিনি লখনৌ জামায়াতের আমীর হয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র তিন বছরের মধ্যেই তিনি মওদূদীর ব্যক্তিত্ব ও চিন্তা এবং জামায়াতের প্রশ্নহীন একক নেতৃত্ব সম্পর্কে তার মতপার্থক্যের কারণে জামায়াত থেকে সরে আসেন। তবে মওদূদীর চিন্তা সম্পর্কে তাঁর সমালোচনা বা ক্রিটিক নাদভী প্রকাশ করেন বেশ পরে তাঁর ‘আসর ই হাজির মে দ্বীন কি তাফহিম ওয়া তাশরিহ’ গ্রন্থে যা ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এতদিন পরে প্রকাশ করা সত্ত্বেও নাদভীকে জামায়াতের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে অনেক নিন্দা অপবাদ শুনতে হয়েছিল। যদিও মওদূদী ও নাদভীর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক অটুট ছিল। নাদভী তাঁর ছাত্র ও তরুণ মুসলিমদেরকে মওদূদীর রচনাবলী পাঠে উৎসাহিত করতেন; আবার অন্যদিকে মওদূদীও নাদভীকে চিঠি লিখে তাঁর সমালোচনা থেকে তিনি যদি কিছু শেখার থাকে তবে তা শিখবেন বলে জানিয়েছিলেন।

নাদভী তাঁর গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে মওদূদী ইসলাম বলতে বুঝেছেন আল্লাহকে একমাত্র সার্বভৌম ও আইন প্রণেতা হাকিম হিশেবে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমান হিশেবে। তিনি লিখেছেন যে মওদূদীর হাতে ইলাহ, রব, ইবাদাত এবং দ্বীন – এইসব মৌলিক কুর’আনি ধারণাগুলির রাজনৈতিক ধারণায় অবনমন হয়েছিল। নাদভী বলেছেন এভাবে মওদূদী ইসলামকে মূলত একটি রাজনৈতিক ক্ষমতার বিষয় বানিয়ে ফেলেছেন; আল্লাহ ও মানুষের সম্পর্ককে কেবল একজন সার্বভৌম রাজা এবং তার প্রজার সম্পর্কে নামিয়ে এনেছেন। কিন্তু নাদভি বলছেন যে এই সম্পর্ক শুধু তা নয়, এই সম্পর্ক ‘ভালবাসার’ সম্পর্ক, এই সম্পর্ক ‘হক প্রতিষ্ঠা’র সম্পর্ক – যা মওদূদী যেভাবে এই সম্পর্ককে দেখিয়েছেন তার চাইতে অনেক বেশি ব্যাপক ও গভীর।

নাদভী মনে করতেন মওদূদী ইসলামকে যেভাবে একটি রাজনৈতিক প্রকল্প বানিয়েছেন তা কুর’আনের প্রকৃত অর্থের বিকৃতি সাধন করেছে। উপরন্তু এই দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবানুগ নয় বরঞ্চ বিপজ্জনক। নাদভী লিখেছেন যে আল্লাহ তাঁর অসীম প্রজ্ঞার কারণে জীবনের কিছু বিষয়, যেমন কিভাবে শাসন কাজ চালাতে হবে তার ফায়সালা করার অধিকার মানুষের উপরে দিয়ে দিয়েছেন; অবশ্যই এসব ফায়সালা শারিয়ার বৃহত্তর পরিসরের মধ্যেই হতে হবে; এবং জনকল্যাণের লক্ষ্য এক্ষেত্রে কার্যকর থাকতে হবে।

নাদভী তাঁর ক্রিটিকে আরো বলেছেন যে মওদূদী যে যুক্তি প্রদর্শন করে যেকথা বলেছেন — আল্লাহ নবী রাসুলদের এই দুনিয়ায় ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের মিশন দিয়ে পাঠিয়েছেন — সেকথা নবুওয়াত সম্পর্কে ইসলামী ধারণার একটি ভুল পাঠ। নবী রাসুলদের প্রধান কাজ হল, নাদভীর মতে, এক আল্লাহর ইবাদাত সম্পর্কে দাওয়াত দেয়া এবং সৎ কাজের আদেশ দেয়া ও অসৎ কাজের নিষেধ করা। সব নবীরা শাসকও ছিলেন না। সত্য হল নবীদের মধ্য থেকে মাত্র অল্প কয়েকজনই শাসক হতে পেরেছিলেন। নাদভী লিখেছেন যে এটা মওদূদীর একটি বড় বিভ্রান্তি যে তিনি মনে করেন যে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের উদ্দেশ্যে আনুগত্যের প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ-ই হল ইবাদাত; নাদভী মনে করেন যে এই অভিমতের মাধ্যমে ইসলামের মহান ও সুউচ্চ ধারণার অবমাননা করা হয়েছে। তিনি বলেছেন ইসলাম সম্পর্কে মওদূদীর বোঝাপড়া অনুযায়ী নামাজ এবং আল্লাহর জিকিরের উদ্দেশ্য হল ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করা; অর্থাৎ এখানে নামাজ উদ্দেশ্য (এন্ড) নয়, নামাজ হল একটি উপায় (মিনস) মাত্র। নাদভী মনে করেন আসলে এর উল্টোটাই সত্য। অর্থাৎ ইসলামী রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হল আল্লাহর ইবাদাত সুনিশ্চিত করা, ইবাদাতের উদ্দেশ্য ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা নয়।

নাদভী মনে করতেন টোটাল ইসলাম প্রতিষ্ঠা বা ইকামাতে দ্বীন যদি হয় শুধুমাত্র ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা তাহলে এই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য বিভিন্ন অনৈতিক ধ্বংসাত্মক পন্থা অনুসরণ করার সম্ভাবনাও খুলে যায়। তাই তিনি বলেছেন ইকামাতে দ্বীনের জন্য প্রয়োজন দ্বীনের প্রজ্ঞা; এই উদ্দেশ্য পূরণের জন্য প্রয়োজন গঠনমূলক পন্থা, ধ্বংসাত্মক পন্থা নয়। সামগ্রিক বিরোধিতা পরিহার করে ইকামাতে দ্বীনের জন্য মুসলিমদের দ্বিধাহীন চিত্তে শান্তিপূর্ণ পন্থা অবলম্বন করতে হবে – যেমন সমঝোতা এবং সংস্কার, পরামর্শ/শুরা এবং প্রজ্ঞা। কিছু নামধারী ‘ইসলামী’ দলের হিংসাত্মক পন্থা ব্যবহারের সমালোচনা করে নাদভী আনুগত্য, ভালবাসা, ইমান এবং নাফসের বিরুদ্ধে সংগ্রামের উপরে অপরিসীম গুরুত্ব আরোপ করেছেন। মুসলিমদের সামনে যেসব বৈধ পন্থা উন্মুক্ত রয়েছে তার সবগুলিকে ইকামাতে দ্বীনের তাগিদে ব্যবহার করতে হবে। যেমন দাওয়াত ও তাবলীগ, সাহিত্য, জন-আলোচনা, স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ, চরিত্র ও আখলাক দিয়ে অন্যদের প্রভাবিত করা ও জয় করা এবং সরকারের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে শাসক ও নেতৃত্বকে প্রভাবিত করা — এইসব কাজ দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

(চলবে)