সমালোচনার মুখে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ১৩ ২০১৯, ২৩:৫০

একুশে জার্নালঃ

মেয়াদের শেষ সময়ে এসে সমালোচনার মুখে পড়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম এবং শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বাধার মুখে এক ছাত্র পরীক্ষা দিতে না পারায় সবার অভিযোগের তীর এখন তার দিকেই।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে সংসদ নির্বাচনের আগে ১৩৪ জন কর্মচারী, চলতি বছরে মার্চ ও এপ্রিলে ২৩ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া চলতি মাসে বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে ১৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ম বহির্ভূত বলে দাবি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা।

এর আগে উপাচার্যের মেয়াদের প্রথম তিন বছরে অস্থায়ী ও দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে ৯৯ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। অস্থায়ী (অ্যাডহক) ও দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ বন্ধ রাখতে গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি নির্দেশনা জারি করেছিল ইউজিসি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি- বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট, হল ও বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে ইউজিসি অনুমোদন দিলেও কর্মচারী নিয়োগে অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। তাই বিভিন্ন দফতর চালু রাখতে বাধ্য হয়ে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৫ এপ্রিল ইউজিসির তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেছিলেন, ‘যখন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দফতর খোলার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়, তখন এর সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীও নিয়োগের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন দফতর খোলার অনুমোদন দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের জন্য অর্থও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গাজী সালেহ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আগের প্রশাসনও মেয়াদের শেষ মুহূর্তে এসে অতিরিক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিল। বর্তমান প্রশাসনও একই কাজ করছে। অতিরিক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে নিশ্চই অন্য কোনো বিষয় জড়িত আছে। সেটি ইউজিসি বা সংশ্লিষ্টরা খতিয়ে দেখতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমার যখন খাবারের প্রয়োজন হবে তখন আমি নিজেই খাবারের জন্য দৌড়াবো। এখন-তো দেখি, প্রয়োজন না হলেও খাবার আমার পেছনে দৌড়ছে। ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট অনুযায়ী এ নিয়োগ নিয়ম বহির্ভূত। বিশ্ববিদ্যালয় সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য এখনই অবৈধ নিয়োগ বন্ধ রাখা দরকার।’