সংসদে ‘শরীফার গল্পে’র বিতর্কিত অংশ প্রত্যাহার চাইলেন চুন্নু

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ০৫ ২০২৪, ১১:৫১

সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা এবার সংসদ পর্যন্ত গড়াল। সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেন এবং এই গল্পের ‘বিতর্কিত’ দুটি লাইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চলতি সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে অনির্ধারিত আলোচনায় চুন্নু বিষয়টি সম্পর্কে সংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সাম্প্রতিক বিতর্কের প্রসঙ্গ টেনে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘ইদানীং একটা বিষয় পত্রপত্রিকা, সোশ্যাল মিডিয়ায় সবখানে আলোচিত হচ্ছে—সে আলোচনায় দেখা যায়, অনেক সময় ভুল আলোচনা হয়, মানুষের অনুভূতিতে আঘাত আসছে। তাতে ধূম্রজাল সৃষ্টি হচ্ছে। সেটা হলো সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের একটি গল্প, শরীফার গল্প।’

চুন্নু বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী যাতে বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক উল্টাপাল্টা কথা হচ্ছে। সামান্য জিনিস যাতে বড় না হয়, শিক্ষামন্ত্রী অংশীজনের সঙ্গে বসে দুটো লাইন যদি প্রত্যাহার করা হয়, তাহলে কোনো বিতর্ক থাকে না।’

কোন অংশটির পরিবর্তন চান সেটা তুলে ধরে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণির বইয়ে শরীফার গল্পে মাত্র দুটো লাইন- ‘ছোটবেলায় সবাই আমাকে ছেলে বলতো, কিন্তু আমি নিজে একসময় বুঝলাম আমার শরীরটা ছেলের মতো হলেও মনে মনে একজন মেয়ে।’ এটা হলো একটা মানসিক বিষয়। এটাকে অন্তর্ভুক্ত করে এখানে উদ্দেশ্য যেটা—এ সংসদে বলতে চাই না, আপনিও স্পিকার নিজে বোঝেন। এটা যেহেতু ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, তাই দুটো লাইন পরিবর্তন করা হলে দেশের মানুষের কোনো আপত্তি থাকবে না।’

পাঠ্যপুস্তক যারা প্রণয়ন করেছেন তাদের সমালোচনা করে চুন্নু বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডার ধারণাটি থার্ড জেন্ডার হিসেবে চালিয়ে আমাদের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্য কোনোভাবে ভালো বলে আমরা মনে করছি না। এই ট্রান্সজেন্ডার ধারণাটি ইসলাম ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ ইতোমধ্যে মতামত দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দল, তারা দলীয়ভাবে ট্রান্সজেন্ডার ধারণার বিরোধী।’

চুন্নু বলেন, ‘আমরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তাই বিশ্বাস করি, যারা হিজড়া তারা নিজে থেকে হিজড়া না। তারা জন্মগতভাবে হিজড়া। আল্লাহ পাক তাদের এভাবে সৃষ্টি করেছেন। এদের অধিকার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম স্বীকার করে। ইসলাম ধর্মেও এদের অধিকার সুরক্ষিত রয়েছে। এমনকি সৌদি ফতোয়া বোর্ড এদের অপারেশন করে স্পেসিফিক জেন্ডারে রূপান্তরিত করাকে সহিহ বলে অনেক আগে মতামত দিয়েছেন। হিজড়াদের নিয়ে কারও কোনো আপত্তি নেই।’