শেখ হাসিনা হলে আবাসন চেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ০৩ ২০১৯, ২৩:৫৬

চট্টগ্রাম বিদ্যালয়ের (চবি) জননেত্রী শেখ হাসিনা হল উদ্বোধনের ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আবাসন ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় সীট বরাদ্দ ও আবাসন চালুর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চবি বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় চার দফা দাবিসহ উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে উপাচার্য শীঘ্রই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চবি’র শেখ হাসিনা হলটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবাসিক এ হলটিতে শিক্ষার্থীদের অ্যাটাচম্যান্ট দেওয়া হলেও আসন বরাদ্দসহ আবাসন সুবিধা চালু হয়নি বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

চবি পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফি নিতুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আকলিমা আক্তার, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণা আক্তার ফাল্গুনি, আইইআর ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আরিফ শাহরিয়ার এবং নিশাত নাওয়াল রাফা।

এসময় বক্তারা বলেন, চার বছর আগে শেখ হাসিনা হলের কাজ শুরু হয়েছে। এটাচমেন্ট পেয়েও থাকা হচ্ছে না আমাদের। বারবার এলোটমেন্ট দেওয়ার তারিখ দিচ্ছে কিন্তু কোনো কার্যকারিতা নেই। অন্য হলে অতিথির মত থাকতে হচ্ছে আমাদের। থাকতে হচ্ছে বড় আপুদের বকঝকা খেয়ে গণরুমে। কেউবা আবার চড়া দামে থাকতে হচ্ছে কটেজে। কটেজে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যৎ, পানি, ওয়াইফাই ও পড়াশোনার পরিবেশ নেই। তারা বলেন, প্রশাসনের কাছে শরণাপন্ন হলে উনারা বলেন তোমাদেরকে যে হলে থাকতে দিয়েছি তাও অনেক বেশি।

তারা আরও বলেন, হলে শিক্ষার্থীদের এলোটমেন্ট না দিয়েই প্রভোস্ট, আবাসিক শিক্ষকরা তাঁদের যাবতীয় অফিস কক্ষ ও প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছেন।

আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি-দাওয়া পেশ করেন।

উপাচার্য বলেন, হলের যাবতীয় কাজ সমাপ্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সার্বিক দিক বিবেচনা করেই বিলম্ব করা হচ্ছে। আগামী রবিবার থেকে হলে উঠার ফরম বিতরণ করা হবে এবং এ মাসের শেষের দিকে হলের উঠার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর প্রফেসর আলী আজগর চৌধুরী, শেখ হাসিনা হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. হেলাল উদ্দীন,আবাসিক শিক্ষক সুলতানা সুকন্যা বাশার।