শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশে তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে -এম এ মালেক

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ১০ ২০১৮, ২১:১২

লন্ডন প্রতিনিধি: যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশে এই হামলার সঙ্গে দেশনায়ক তারেক রহমান এবং বিএনপিকে জড়ানো হয়েছে যা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক । বিএনপি কখনোই এভাবে ঘৃণ্য হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে বিএনপি জিয়া পরিবারের ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশে সুদূরপ্রসারী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট মামলার বিচারকার্য চলাকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের দলীয় লোক ও জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কাহার আকন্দকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে মামলা পুনঃতদন্তের নামে দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু করে।

এম এ মালেক বলেন, শেখ হাসিনার সারাসরি নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে দলীয় লোক কাহার আকন্দ নতুন তদন্ত প্রতিবেদনে তারেক রহমানের নাম সহ বিএনপি নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। এমনকি ২০০৮ সালের ১১ জুন বর্তমান আইজিপি ও সিআইডির তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীর তদন্ত প্রতিবেদনে কোথাও তারেক রহমান বা বিএনপির কারো নাম ছিল না । তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সময় মুফতি হান্নানের দেওয়া জবানবন্দিতেও তারেক রহমানের নাম ছিল না। শুধুমাত্র তারেক রহমানের নাম বলানোর জন্য মুফতি হান্নানকে ৪১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে তারেক রহমানের নাম জোর করে বলানো হয়। কিন্তু মুফতি হান্নান আদালতে বক্তব্য প্রত্যাহারের আবেদনে জানান তাকে নির্যাতন করে তারেক রহমানের নাম বলানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র, হামলা মামলা, নির্যাতনে বিএনপি ভীত নয়। সকল ষড়যন্ত্র ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সাথে মোকাবিলা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে দেশে জনগনের সরকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।