শীর্ষ আলেমদের দৃষ্টি আকর্ষণ- হুসাইন আহমদ মিসবাহ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ২৩ ২০২০, ০৮:০৯

হাফিজ সাহেবানদের তারাবীহ’র হাদিয়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দেশে মত বিরোধ চলছে। আধিকাংশ উলামায়ে কিরাম সেটাকে জায়েয বললেও কিছু উলামা হযরাত সেটাকে না জায়েয বলছেন।
বিশেষত সাম্প্রতিক এই বিষয়টি নিয়ে মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী ও মুফতী আনোয়ার হুসাইন চিশতির মধ্যকার মতবিরোধ ভাইরাল হয়েছে। ওলীপুরী দা. বা. তারাবীহ’র হাদিয়া নাজাইয প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন আর চিশতি দা. বা. সেটা জায়েয প্রমাণের চেষ্টা করছেন।
এই নিয়ে জল অনেক ঘোলা হয়েছে। কিছু আবাল বিষয়টিকে জটিল করেছে ফেলেছে। প্রাইমারি শিক্ষক ভার্সিটির ক্লাস নিতে গেলে যেমন হয়, অনেকটা তেমনই। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি, ভবিষ্যতেও বলার চেষ্টা করবো যে, বড়দের কাজ বড়দেরকেই করতে দিন। ছোটরা উপভোগ করুন। জ্ঞানের ঝাঁপি সমৃদ্ধ করুন।
যাক, অবশেষে প্রথমে এই বিষয়ে মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী ভিডিও বার্তায় চ্যালেঞ্জ করে বাহাসের আহবান করেছেন। পরে মুফতী আনোয়ার হুসাইন চিশতি ভিডিও বার্তায় সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বাহাসে বসতে রাজি হয়েছেন। পাশাপাশি চিসতি সাহেব উনার বার্তায় দেশের শীর্ষ উলামায়ে কিরামকে দ্রুত বাহাসের ব্যবস্থা করে বিষয়টির স্থায়ী সমাধানের আহবান জানিয়েছেন।
আমরাও দেশের মুহতারাম শীর্ষ উলামায়ে কেরামের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিনীত নিবেদন করছি, আপনাদের মধ্যস্থতা ও ব্যবস্থাপনায় সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ করে ওলীপুরী ও চিশতি হুজুরদ্বয়কে বসান। প্রয়োজনে প্রশাসনের সহযোগিতা নিন। দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা বিতর্কিত এই মাসআলাটির আমরা সমাধান চাই।
আল্লাহ দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামদেরকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের তাওফিক দিন। সত্য মাসআলা আমাদেরকে জানার সুযোগ করে দিন। সবাইকে বিতাড়িত শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে হেফাজত করুন। আমীন।