শিবির সভাপতির দাওরা পরীক্ষা; সেই মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যা বললেন

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ০৪ ২০১৯, ১৪:০৭

আবির আবরার:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এ ৬৯৬ নম্বর পেয়ে জায়্যিদ জিদ্দান (প্রথম বিভাগ) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ‘আল হাইআতুল উলইয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে অনুষ্ঠিত ১৪৪০ হিজরি শিক্ষাবর্ষের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষায় তিনি এ ফলাফল অর্জন করেন।

এর আগে ২০১৭ সালে তিনি ভারতের রাজস্থানের শ্রী জে জে টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। তাঁর গবেষণা অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল “ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্বের কৌশল: ইসলামী ও প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে তুলনামূলক সমীক্ষা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি আল জামিয়াতুল উসমানিয়া দারুল উলুম, সাতাইশ, টঙ্গি মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আর পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল টঙ্গীর চেরাগ আলীতে অবস্থিত দারুল উলুম মাদরাসা। মোবারক হোসাইনের রোল নম্বর ৬৯৪৫।

শিবির সভাপতি কীভাবে টঙ্গীর উক্ত মাদরাসা থেকে পরীক্ষার সুযোগ পেলেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার একাধিক শিক্ষক বলেন, ঘটনা সত্য। শিবির সভাপতি আমাদের মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তবে তিনি আমাদের মাদরাসায় ভর্তি হননি। ক্লাস করেছেন। যাকে বলা হয়, ‘সেমায়াত’। মাদরাসার বোখারির শিক্ষক মাওলানা আবদুল মতিনের সুপারিশে তাকে এ সুযোগ দেওয়া হয়। আমরা এর পক্ষে ছিলাম না।

এ বিষয়ে মাওলানা আবদুল মতিন বলেন, ‘আমি তাকে সেভাবে চিনি না। তিনি নিজেকে একটি কলেজের প্রফেসর পরিচয় দিয়ে আমার জুমার বয়ান শোনে ইলমে দ্বীন শেখার আগ্রহ দেখান। তাই আমি তাকে এ সুযোগ করে দিয়েছি।’

এদিকে এই অনন্য অর্জনের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, ড. মোবারক হোসাইন কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বালিনা গ্রামে ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মো. মোসলেহ উদ্দিন আহম্মেদ ও খোদেজা বেগমের চতুর্থ পুত্র। তিনি ব্রাহ্মণপাড়ার বালিনা মাদরাসা থেকে দাখিল এবং মুরাদনগর অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজ থেকে এইচএসসি কৃতিত্বের সঙ্গে শেষ করেন। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি এবং নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণামূলক জার্নালে ইতোমধ্যে তাঁর ৫টি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।