শরীয়তপুরে ময়নাতদন্তের জন্য ৩৪ দিন পর কবর থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ০৮ ২০২০, ১২:২৪

ইয়ামিন কাদের নিলয়, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি: শরীয়তপুরে জেলার ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামে দাফনের ৩৪ দিনের পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। গত শনিবার ১ আগস্ট রাত আনুমানিক ১১টা ৫০ মিনিটের সময় প্রথম স্ত্রী শামিমার ঘরে মারা যান এনামুল হক সবুজ। এরপর তাকে দাফন করা হয়।

পরিবারের দাবি ছিল এনামুলকে তার প্রথম স্ত্রী শামিমা হত্যা করেছে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকাল সাড়ে ১১ টার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুর্তজা আল মুঈদের নেতৃত্বে কবর থেকে নিহত এনামুল হক সবুজের লাশ উত্তোলন করা হয়৷

উল্লেখ্য নিহত এনামুল হক সবুজ ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের মৃত নোয়াব আলী ও মমতাজ বেগমের পুত্র। তিনি হাইম্যাক্স ইউনানি ল্যাবরেটরীজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি আরো একটি বিয়ে করছেন বলে জানা যায়। এনামুল হক সবুজের প্রথম স্ত্রী হলেন জুলহাস সরদারের কন্যা শামিমা বেগম।এ বিষয়ে নিহত এনামুল হক সবুজের দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্না ইসলাম জানান, তার স্বামীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন তার স্বামী নিহত এনামুল হক সবুজ তাকে আনুমানিক ১ মাস আগে বলেন যে তার প্রথম স্ত্রী মোসাঃ শামিমা বেগম বিষ পান করে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে আমি ২ মাসের অন্তসত্তা এ কথা জানান পর থেকেই আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী শামিমা বেগম আমার স্বামীর উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। সর্বশেষ ওরা আমার স্বামীকে মেরে ফেললো।আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এ সময়ে ডামুড্যা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এমারত হোসেন বলেন, নিহত এনামুল হক সবুজের মৃত্যু নিয়ে পরিবারের মধ্যে সন্দেহ ছিল।তারই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।তারই ধারাবাহিকতায় আজ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করে শরীয়তপুর মর্গে পাঠানো হয়।