শরীয়তপুরে প্রভাবশালীর শেল্টারে চলছে অবৈধ ড্রেজার

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ০২ ২০২০, ০০:০৪

শরীয়তপুরের জাজিরা বিকেনগর ইউনিয়নের হাওলাদারকান্দি ৯ নম্বর ওয়ার্ডে খালের ভেতর চলছে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার হিড়িক। খাল পাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এভাবে ড্রেজার চললে আমাদের বাড়িঘর ভেঙে খালে পড়বে। আমাদের দেখার কেউ নেই। প্রশাসন নীরব।

রবিবার দুপুর ১২টায় সরেজমিনে দেখা যায়, জাজিরা বিকেনগর বঙ্গবন্ধু কলেজের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি খাল। এই খালের দুই পাশে যত দূর চোখ যায়, দেখা যায় শুধু ড্রেজার আর ড্রেজার। মনে হয় ড্রেজারের মেলা বসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার ড্রেজার মালিক সোরহাব মাদবর, কুদ্দুস, আরিফ, ইউছুফ, কাদির মোল্লা ও চান মিয়াসহ আরও অনেকে খালটিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলে বিক্রি করছেন। প্রতি ফুট বালু বিক্রি করছে ৩ টাকা দরে। এ দিকে ড্রেজারের কারণে খালের দুই পাশের ফসলি জমি ভেঙে পড়ছে। পাশাপাশি ঝুঁকিতে রয়েছে খালপাড়ের বসতবাড়ি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, জেলা আ. লীগের এক নেতার শেল্টারে এখানে ড্রেজার দিয়ে মাটি বিক্রি চলছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে পারি না।

ফিরোজা বেগম বলেন, আমার স্বামী পরের ক্ষেতে কামলা দিয়ে খায়। অনেক আশা ভরসা কইরা জমিডা কিনছি। খাইয়া না খাইয়া। পোলাপানের আসা ভরসা আছে না। এখন যদি জমিসহ ঘর ড্রেজারের কারণে খালের ভেতর ভেঙে পড়ে। তাহলে আমারা কই জামু। ড্রেজার মালিকদের বললে, তারা বলে বাঁশ গেড়ে নেও।

হাওলাদারকান্দির বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মোল্লা ও কালা মোল্লাসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কথা কেউ শোনে না। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে আমাদের ফসলি জমি ভেঙে পড়েছে। এখন বাড়ি ভাঙার আতঙ্কে আছি। আমরা ড্রেজার মালিকদের নিষেধ করেছি। তারা বলেন, কিছুই হবে না।

এ বিষয়ে ড্রেজার মালিক গ্রুপের সোহরাব মাদবর বলেন, আমরা জমি ওয়ালাসহ প্রশাসন, সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই কাজ করি।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এর আগেও দুইজনের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জাজিরা থানার ওসিকে জানিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেলে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।