শরীয়তপুরে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ০২ ২০২০, ০০:০২

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউপিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঘর নির্মাণে নিম্নমানের টিন ব্যবহার করায় বাধা দেয় গ্রামবাসী। পরে কর্তৃপক্ষের তদন্তে অনিয়ম বেরিয়ে এলে টিন খুলে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

মঙ্গলবার চিতলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান, প্রকল্পের সভাপতি ও ঠিকাদার আব্দুস সালাম হাওলাদারের নির্দেশে টিন খুলে নেয়া হয়।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউপির মীরা কান্দি এলাকার গৃহহীনদের জন্য ১০টি ঘর নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ কর হয়। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১৫ লাখ টাকা। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার সেই প্রকল্পের সভাপতি ও ঠিকাদার। ঠিকাদার অতিরিক্ত লাভবান হওয়ার জন্য ঘর নির্মাণে সবস্তরে অনিয়ম শুরু করেন।

এখন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। টিন দিয়ে চাল ও বেড়া ঢেকে ফেলা হয়েছে। টিনের পুরুত্ব ৩৬ মিলিমিটার (এমএম) ব্যবহার করার নিয়ম ছিল। সেক্ষেত্রে ৩২ এমএম পুরুত্বের টিন ব্যবহার করেন ঠিকাদার। কর্তৃপক্ষ কম পুরুত্বের সেই টিন মেনে নিতে নারাজ থাকায় নতুন করে আবারো নয়ছয়ের আশ্রয় নিয়েছেন ঠিকাদার সভাপতি।

তিনি ঢাকা থেকে টিনের সিল ঘষামাজা ও স্টিকার পরিবর্তন করার জন্য রনি ও বলাই নামের দুইজন লোক নিয়ে আসেন। তারা ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার ভোররাত থেকে ৩২ এমএম টিনের সিল ঘষে সেখানে ৩৬ এমএম স্টিকার লাগান। বেশির ভাগ টিন ঘষামাজা ও স্টিকার পরিবর্তনের সময় স্থানীয় লোকজনের কাছে ধরা পড়ে যান অভিযুক্তরা। তারা চেয়ারম্যানের সঙ্গে চুক্তি করে এই কাজ করছেন বলে স্থানীয়দের কাছে ক্ষমা চেয়ে পালিয়ে যান। এমন দুর্নীতির জন্য অভিযুক্তদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা।

তবে চিতলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা স্বপন মাতুব্বর বলেন, গুচ্ছগ্রামের প্রকল্পে কোনো অনিয়ম করার সুযোগ নেই। ৩৬ এমএম টিনের পরিবর্তে ৩২ এমএম টিন লাগানো হয়েছে তা পরিবর্তন করানো হচ্ছে।