গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নেদারল্যান্ডসের হেগে আইসিসির প্রাক-বিচারিক আদালত-৩ এক ঐতিহাসিক রায়ে ওই অনুমতি দেন।
গতকালের রায়ে আইসিসি বলেছেন, ‘মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে জোরপূর্বক বহিষ্কারের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ধারাবাহিক ও বড় পরিসরে সহিংসতা হয়েছে বলে বিশ্বাস করার মতো জোরালো ভিত্তি আছে।’
ওই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই আইসিসি রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধসহ রোম সংবিধিতে বর্ণিত অন্যান্য অপরাধের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন। মিয়ানমার আইসিসির সদস্য না হওয়ায় তার ওপর আইসিসির বিচারিক এখতিয়ার নেই। তবে বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য। রোহিঙ্গারা গণবাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসার মধ্য দিয়ে জোরপূর্বক বহিষ্কার, দেশান্তরীকরণসহ বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সেগুলোর বিচারিক এখতিয়ার আইসিসির আছে।
এমনই ভয়ংকর যে তা কোনো একটি দেশে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর বিচার যেকোনো স্থানে করা যায়। আইনজীবী থমাস ওজেয়া বলেন, তাঁদের আবেদনে ‘জেনোসাইডের’ সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং আড়াল করার মতো ফৌজদারি অপরাধের বিচার চাওয়া হয়েছে। অন্য কোথাও এ ধরনের মামলার সুযোগ না থাকায় তাঁরা আর্জেন্টিনায়ই এ মামলা করেছেন।
মামলায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য হুমকি হয়ে ওঠা সু চি ও সামরিক বাহিনীপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংসহ কয়েকজনের বিচার করার আবেদন জানানো হয়েছে।