রাঙামাটিতে পার্বত্য অধিকার ফোরামের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ১৭ ২০১৯, ১০:৪৬

 

ইমাম হোসাইন কুতুবীঃ

পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যােগে পার্বত্য অধিকার ফোরামের ছাত্র সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা ও কলেজ শাখার পরিচিতি সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নাজিম আল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আবছারের পরিচালনায় আজ বিকেল ৪.৩০ মিনিটে শহরের কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে চারটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে খুন, গুম, অপহরণ বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতিটি ঘটনায় এক দল অন্য দলকে দায়ী করার পাশাপাশি সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কলুষিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আসলে জেএসএস(সন্তু), জেএসএস(সংস্কার), ইউপিডিএফ(প্রসীত) এবং ইউপিডিএফ(গণতান্ত্রিক) নামক উগ্র এই ৪টা সংগঠন পুরো পাহাড়ি জেলাগুলোকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়ে চাঁদাবাজির হরিলুট চালাচ্ছে। তাদের এই অপকর্মের পথে প্রধান বাঁধা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত “সেনাবাহিনী”। আর সে কারণেই এইসব উগ্র সন্ত্রাসী সংগঠণগুলোর প্রধান দাবি “পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহার” করতে হবে যাতে করে তারা সমগ্র পাহাড়ি ৩ জেলাতে পুরো মাত্রায় অত্যাচার চালাতে পারে এবং পাহাড়ে নিজেদের “জুম্মল্যান্ডের পতাকা” ওড়াতে পারে।
তাই পাহাড়ে সকল জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, শান্তি ও সম্প্রীতি এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে পত্যাহার কৃত সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে।
উক্ত পরিচিতি সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বেগম নূর জাহান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ ইউনুছ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. আবছার আলী, পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ- সভাপতি ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি আহম্মেদ রেদওয়ান, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ডালিম, পার্বত্য নারী অধিকার ফোরামের সভাপতি সালমা আহম্মেদ মৌ, সাধারণ সম্পাদক আফরোজা আক্তার নিশি, পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মোখতার আহম্মেদ পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লোকমান হাকিম, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম, রাঙামাটি সরকারী কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ মুমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাকী বিল্লাহ্, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নূর আলম প্রমুখ।

অন্যান্য বক্তাগণ আরো বলেন, পাহাড়ের জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ ১৪টি পদে এমপি, মন্ত্রী, রাজা মহারাজাসহ ইলেকশন সিলেকশনে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং উন্নয়নবোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ১৪টি পদ ও চেয়ার উপজাতিদের দখলে।
তন্মধ্য সর্বশেষ নারী সংরক্ষিত সাংসদসহ চাকমা হতে ৫জন,
মংরাজা, বোমাং রাজাসহ মারমা হতে ৬জন,
ত্রিপুরা হতে ৩টি পদে দুইজন ত্রিপুরা।

খাগড়াছড়ির সাংসদ ত্রিপুরা হয়েও টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান হিসেবে ডুয়েল দায়িত্বে।
শান্তিচুক্তির আগে ও পরে গঠিত বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ পদে বৈষম্য বিরাজমান।
সুতরাং, এখানে বাঙালি তথা অ-উপজাতিরা বিধি প্রবিধিসহ নানা ভাবে জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ পদে বা চেয়ারে আসতে, বসতে পারে না।

এইভাবে চলছে পাহাড়ের রাজত্ব। এরপরও বলবো সম্প্রীতির পাহাড় সাম্প্রদায়িক পদ পদবীতে ভরপুর আমাদের পার্বত্যাঞ্চল।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের কে সকল মহল হতে দিতে দিতে ভরপুর করা হচ্ছে অথচ বাঙালীদের শুধু বঞ্চিতই করা হচ্ছে। এইভাবে কখনো সম্প্রীতি হতে পারে না। তারপরেও বাঙালীরা কোন কিছু না পেয়েও শান্তিপূর্ণ ভাবে পাহাড়ে আছে। কিন্তু উপজাতিরা শত সুযোগ সুবিধা পেয়েও আঞ্চলিক চারটি সংগঠনের নামে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পাহাড়কে অশান্ত করে রেখেছে।

পাহাড়ে শান্তি সম্প্রীতির স্বার্থে সকল জনগোষ্ঠীকে সমান ভাবে সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। পাহাড়ে বাঙালীদের ক্ষমতায়নে রাজনৈতিক দল গুলোর উচ্চ মহল হতে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে।

পাহাড়ে বাঙালী নেতৃত্ব তৈরিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় বাঙালীরা বঞ্চিত হতে হতে বিলীন হবে পাহাড় থেকে। আঞ্চলিক দেশ দ্রোহী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একক অাধিপত্য তখন বেড়ে যাবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকীর মুখে পড়বে।

বক্তা গণ আরো বলেন রাঙামাটি থেকে নির্বাচিত বাঙালী জনপ্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাঙালী জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন মাধ্যমে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বাঙালী জন প্রতিনিধিদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় কোন অপ্রতিকর কিছু ঘঠলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দায়ি থাকবে।

খাগড়াছড়ি হতে সংরক্ষীত মহিলা আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য দেওয়ার পরও এখনও কিভাবে সাংবিধানিক পোষ্টে বহাল থাকে? বাসন্তী চাকমা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতিক সেনাবাহিনী’র বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার পরও কিভাবে বাসন্তী চাকমা আবার সরকারী