হাবীব আনওয়ার

যারা টঙ্গির ময়দানকে রক্তাক্ত করেছে, আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের রক্ত ঝড়িয়েছে, তাদের সাথে কোন আপোষ নেই।তাদের যারা সহযোগিতা করেছে,সেই সব নামধারী আলেমদের সাথেও কোন আপোষ নেই।তাদেরকে সকল কওমী মাদরাসা থেকে অবঞ্চিত ঘোষণা করতে হবে।তারা দেওবন্দের নাম বিক্রি করে এদেশে ধর্ম ব্যবসা করছে।

আজ ৬ই ডিসেম্বর (বুধবার)উত্তর চট্টলার দ্বীনি ও সেবা মূলক সংগঠন আল আমিন সংস্থার ব্যবস্থাপনা ও আল্লামা আহমাদ শফি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী তাফসিরুল কুরআন ও শানদার ক্বেরাত মাহফিলের দ্বিতীয়দিন হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মওলানা হাসান জামিল এসব কথা বলেন।

মাওলানা হাসান জামিল বলেন, ওলমাদের ইতিহাস রক্ত দেওয়ার ইতিহাস।ওলামায়ে কেরাম সব সময় বাতিলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।ওলামায়ে কেরাম এই উপমহাদেশ থেকে বিটিশ তাড়িয়েছেন।
এদেশে কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন।যখনি কোন ফেতনা মাথা চড়া দিয়ে উঠে তখনি ওলামায়ে কেরাম বুকের তাজা রক্ত দিয়ে তা প্রতিহত করেন।যার প্রমাণ সাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠা।ওলামায়ে কেরাম বুকের রক্ত দিতে জানে, কিন্তু পিছু হটতে জানে না।যার প্রমাণ টঙ্গির ময়দান।
ওলামায়ে কেরাম প্রয়োজনে আরো রক্ত দিবে, তবুও এদেশে সাদের ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করতে দিবে না!

মাওলানা আরো বলেন, এদেশ ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ।বহু ত্যাগের পর আমরা এদেশ পেয়েছি।তাই এই দেশে কোন বাতিল মতবাদ প্রচার করতে দেওয়া হবে না।এবং যারা এর সাথে জরিত তাদেরও এদেশে থাকার অধিকার নেই।

মাওলানা হাসান জামিল আরো বলেন, আমরা অনেক ধর্য ধরেছি।আর পরছি না।এখন সময় এসেছে প্রতিরোধ করার।শুধু মুরুব্বীদের অনুমতির অপেক্ষায়! এসময় তিনি সবাইকে ওলামায়ে কেরামের সাথে থেকে টঙ্গির ময়দানে আহতদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।