যাত্রাবাড়ীর বাইতুন নূরের ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার: সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ১৮ ২০১৯, ১৪:৪৪

মুহাম্মাদ তাওহিদ: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর জামি’আ ইসলামিয়া বাইতুন নূর এর ৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মাদরাসাটির মুহতামিম মাওলানা মুনিরুজ্জামান তাদের বহিষ্কার করেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ এক শিক্ষক রুমে ঢুকে কিছু ছাত্রের হাতে ‘নবধ্বনি’ নামে একটি পত্রিকা দেখতে পান। তার পরের দিন সকালে কয়েকজন ছাত্র দিয়ে তাদের বুকসেল্ফ চেক করে ‘তাতারিদের ইতিহাস’ ও জিহাদের মাসআলার কয়েকটা কিতাব পান।

পরে সেই সব ছাত্রদের জঙ্গি জামাত বলে ঘোষণা দেন। তারপরের দিন শুক্রবার রাতে তিনি তাদেরকে তার অফিসে ডেকে সেই ৫ জন ছাত্রকে রাত ১১.৩০টায় তাদের ট্রাংক, বেডিং ইত্যাদি মালামালসহ মাদরাসা থেকে বের করে দেন। মুহতামিমের প্রভাব ও দাপটের কারণে চাকরির ভয়ে কোন শিক্ষকই এর প্রতিবাদ করেন নি।

এ ঘটনায় বহিষ্কৃতদের সহপাঠীরা প্রতিবাদ জানানোর উদ্দেশ্যে পরের দিন সকালে ২৮ জন ছাত্র বেডিংসহ মাদরাসা থেকে বের হয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে মাদরাসায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়াও অন্যান্য ক্লাসের আরও কিছু ছাত্র মাদরাসা থেকে বের হয়ে যাবার চেষ্টা করছে।

বহিষ্কৃত ছাত্রদের দাবি, মুহতামিমের একঘেয়েমি চিন্তা ও মনগড়া অভিমত নিয়ে কোন বিচার বিশ্লেষণ না করে আমাদের এ বহিষ্কার অন্যায় ৷ এটা কওমী মাদরাসা ও বেফাক বোর্ডের জন্যও দুঃখজনক। যদিও মুহতামিম সাহেবের দাবি জিহাদ সম্পর্কিত বইয়ের কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু আমরা বলছি, প্রকৃতপক্ষে এগুলো আমাদের পাঠ্যসূচির সমর্থিত বই।

বহিষ্কৃতরা হলেন-
১. আতাউল করীম , ঢাকা
২. মারুফ রুসাফী, নারায়নগঞ্জ
৩. আতিকুর রহমান, ঢাকা
৪. আতাউল্লাহ , কুমিল্লা
৫. সাঈদ আহমদ, ঢাকা

এ ঘটনার পর থেকেই কওমী অঙ্গনে মাওলানা মুনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত।

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুনিরুজ্জামানকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি ৷