মেননদের কথায় মুসলিম নারীরা হিজাব বর্জন করবে না: আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ২০ ২০২৩, ২৩:১৭

“হিজাব- বোরকাতে বাংলাদেশ ছেয়ে গেছে, ইসলাম ধর্মের কোথাও লেখা নেই হিজাব সুন্নতি পোশাক” ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমিরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফিজ্জী।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন- পর্দা কোরআন সুন্নাহ অনুযায়ী ইসলামের অন্যতম একটি ফরজ বিধান। আর হিজাব পর্দারই একটি অংশ। পর্দাকে অস্বীকার করা পবিত্র কুরআন- হাদিস অস্বীকার করার শামিল। মেননের বক্তব্য প্রমাণ করে সে কোরআন- সুন্নাহ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ অথবা চরম ইসলাম বিদ্বেষী। এর আগেও ইসলাম সম্পর্কে বাববার বিষোদগার করে মেনন জাতির কাছে চরম ধর্ম বিদ্বেষী ও নাস্তিকদের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারী রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক আলোচনা সভায় ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান হিজাব অস্বীকার করে আবার প্রমাণ করলেন তিনি ইসলাম ও মুসলমানদের চরম দুশমন। মেননের মতো নাস্তিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের পার্লামেন্টের এমপি থাকতে পারেনা।ধর্ম অবমাননার দায়ে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলকরতে হবে। ইসলামের শরঈ বিধান সম্পর্কে তার ঔদ্যত্বপুর্ণ বক্তব্যের বিচার করতে হবে। তা না হলে এদেশে নাস্তিকদের আস্ফালন বন্ধ হবে না।

তিনি আরো বলেন -বাংলাদেশ ৯২ভাগ মুসলমানদের দেশ। এদেশের মুসলিম নারীরা হিজাব পরবে, পর্দা করে চলবে এটাই স্বাভাবিক। পর্দা মুসলিম নারীদের ইজ্জত হেফাজতের গ্যারান্টি। মেননদের মতো নাস্তিকদের কথায় মুসলিম নারীরা কখনোই হিজাব বর্জন করবে না। কারন বেপর্দা- বেহায়াপনার কারণে জমিনে আল্লাহর গজব নেমে আসে।

আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মুখমণ্ডল খোলা রাখার নির্দেশের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন – হিজাব প্রত্যেক মুসলিম নারীর ব্যক্তিগত ধর্মীয় ও অধিকার। কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কারো ধর্মীয় বিধান পালনে বাধা প্রদান বা নাক গলাবার অধিকার নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে ছাত্রীদের কানসহ মুখমণ্ডল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত খুবই আপত্তিকর ও ইসলাম বিরোধীতার শামিল। অবিলম্বে ইসলামবিরোধী অনৈতিক সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।