মুসলিম রাষ্ট্রে জারজ সন্তানের সংখ্যা বাড়ছে; মুসলিমদের কোন উদ্বেগ নেই

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ১০ ২০১৯, ০০:৩২

।। মনযূরুল হক ।।

মিথিলা একজন হিন্দু লোককে বিয়ে করেছেন—যিনি একই সঙ্গে ভিনদেশি ও ভিন্ন সংস্কৃতির ধারক। এ-ঘটনায় উদারপাড়ায় ধন্য ধন্য রব পড়ে গেছে। সাধুবাদ জানিয়েদের মধ্যে মুসলিম ও নামাজি পরিচয়ের তারকাবৃন্দও আছেন।

অন্যরা বিষয়টিতে গা করছেন না। কেন?

কারণ চলচ্চিত্র অঙ্গনকে আমরা এমনভাবে ইসলাম থেকে বের করে দিয়েছি যে, নাম শুনলেও বুঝি তিনবার অজু করতে হয়। ফলে যারা সে-অঙ্গনে যান, তারাও ইসলামকে বাড়িতে রেখে যান—আর উন্মাদের মতো যাচ্ছেতাই জীবনযাপনের অঘোষিত লাইসেন্স উপভোগ করেন।

অমুসলিমকে বিয়ে করার প্রবণতা বর্তমানে আশঙ্কাজনক এবং তারকাদের মধ্যে বেশি। একজন তারকার প্রভাব সমাজে নিঃসন্দেহে অসামান্য। তাদের লাইফস্টাইল সমাজ ব্যাপকভাবে অনুকরণ করে। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানেও তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়। তাই তারকারা যখন প্রকাশ্যে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেন, যা সরাসরি সমাজের প্রচলিত জীবনব্যবস্থাকে আঘাত করে—তখন তাকে স্বাভাবিক চোখে দেখার সুযোগ নেই।

ভুললে চলবে না, মিথিলা কিন্তু এ-দেশের একজন পেশাদার উন্নয়নকর্মী ও শিক্ষকও। তিনি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টের প্রধান এবং স্কলাস্টিকা হাই স্কুল ও নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন।

সুতরাং তাদের বিয়ে শুধু বিয়ে থাকে না—সেক্যুলারদের একেকটি মডেলে পরিণত হয় এবং সমাজের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশকে অস্থির করে তোলে। এভাবে সমাজের বাঁধন আলগা হয়ে আসে। এই ধরনের নজির পরবর্তী সময়ে আইন-আদালতকেও প্রভাবিত করে। এবং ক্রমশ এমন একটি ভঙ্গুর, অবাধ ও অবৈধ জাতি গড়ার পথে অগ্রসর করে দেয়—যা ধ্বংসোন্মুখ।

একটি মুসলিম সমাজ তার সদস্যকে এবং একটি মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্র নাগরিককে কিছুতেই এমন অবৈধ সম্পর্কের অনুমোদন দিতে পারে না—যা সমাজ ও রাষ্ট্রের শৃঙ্খলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তারকাদের গতি-প্রকৃতি কোন দিকে, সে-বিষয়ে অবশ্যই রাষ্ট্রকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

একটা মুসলিম রাষ্ট্র ধীরে ধীরে জারজ সন্তানের সংখ্যা বাড়াচ্ছে—তা যদি মুসলিমদের জন্যে উদ্বেগের বিষয়ই না-হয়, তাহলে ইসলাম কীসের জন্য?

লেখক: প্রোডাক্ট অ্যান্ড পিআর টিম, রকমারি.কম।