মুকাব্বির খাঁন এমপি ও বিএনপির লজ্জা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুন ২২ ২০১৯, ১৯:৫১

ফুজায়েল আহমাদ নাজমুল

জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সিলেট -২ আসনের এমপি, মুকাব্বির খাঁন গুম হওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এম ইলিয়াস আলীকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেতে জাতীয় সংসদে কথা বলবেন বলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে অঙ্গীকার করেছিলেন। আর ইলিয়াস আলীর পরিবারসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা জোটের অন্যতম শরীক দল খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রর্থী মুহাম্মাদ মুনতাসির আলীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে জনসমর্থনহীন দলের সূর্য মার্কার প্রার্থী মুকাব্বির খানকে বিজয়ী করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছিল এবং শেষপর্যন্ত মুকাব্বির খাঁন বিজয়ীও হয়েছিলেন।

দুঃখজনক হলেও সত্য, ইতিমধ্যে সংসদের কয়েকটি অধিবেশন হয়েগেলেও ইলিয়াস পরিবারের পক্ষে মুকব্বীর খাঁন এমপিকে একটি কথাও বলতে শুনা যায়নি। বিএনপির কারানির্যাতিত নেত্রী বেগম জিয়াসহ জোটের গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির কথা বলার সাহস দেখাতে পারেননি। যে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের ভোট নিয়ে জীবনের প্রথম পার্লামেন্টে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে সেই জোটের প্রতি সামান্যতমও কৃতজ্ঞতা জানাতে দেখা যায়নি। বিএনপির অন্যান্য এমপিরা অনতিবিলম্বে বর্তমান অবৈধ সংসদকে বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য একটি জাতীয় নির্বাচনের আহবান জানালেও মুকব্বির খাঁন এ বিষয়েও নিরবতা অবলম্বন করে চলেছেন।

লক্ষ করলাম, মুকব্বির খাঁন সংসদে যেকটি বক্তব্য দিয়েছেন তার সবকটিই ছিল লিখিত। কাঁপাগলায় দেয়া তার প্রতিটি বক্তব্যেই নিজ দল গণফোরাম ও ড. কামাল হোসেনের কাহিনীই ওঠে এসেছে। এমনকি গতকালের বাজেট বক্তৃতায় অংশ নিয়েও তিনি জোরেশোরে শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেন।

আজ বিএনপি নেতাকর্মীদের মুখ লজ্জায় লাল হয়ে আছে। তারা এ লজ্জা লুকিয়ে রাখতে নিশ্চয়ই হিমশিম খাচ্ছেন। তবে, মুনতাসীর আলীকে বিএনপি সমর্থন দিলে তাদেরকে আজ এ কঠিন লজ্জায় পড়তে হতো না। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মতো Mohammad Muntasir Ali পার্লামেন্টে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই ঝড় তুলতেন।

আসলেই বিএনপি একটি দুর্ভাগা দল।