মির্জাপুরে চলন্ত বাসে গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ২৬ ২০১৮, ১৪:১৭

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চলন্ত বাসে শিউলী আক্তার (২৬) নামের এক নারী গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানি এলাকায় বর্বর এ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল (মহাসড়কের পাশ থেকে) ওই গার্মেন্টসকর্মীর লাশ উদ্ধার করলেও বাস ও ধর্ষণকারীদের আটক করতে পারেনি।

পুলিশ সূত্র জানায়, শিউলী আক্তারের স্বামীর নাম মো: শরিফ মিয়া। বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম মো. আলেফ খান, বাড়ি একই উপজেলার রোয়াইল গ্রামে।

শিউলীর চাচাতো ভাই মো: মালেক মিয়া জানায়, শিউলী গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কম্পিট কম্পোজিট গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যাওয়ার জন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চরপাড়া নামক স্থানে এলে তাদের বহনকারী বাস এসে দাঁড়ায়। কিন্ত ভুলক্রমে আইডি কার্ড বাড়িতে রেখে আসায় তিনি ঐ বাসে না উঠে বাড়ি চলে যায়।

বাড়ি গিয়ে আইডি কার্ড নিয়ে এসে রাস্তার পাশে দাঁড়ায় গার্মেন্টসে যাওয়ার জন্য। এ সময় টাঙ্গাইল থেকে কালিয়াকৈর-চন্দ্রাগামী একটি বাসকে থামার জন্য ইশারা করলে বাসটি থাকায়। তিনি বাসে উঠে দেখতে পান অন্য কোনো যাত্রী নেই। এই সুযোগে বাসের হেলপার ও সুপারভাইজারসহ তাদের সহযোগী কয়েকজন মিলে শিউলীকে ধর্ষণ করে। শিউলী বাসের মধ্যে বাঁচাও বাঁচাও বলে আর্তচিৎকার করেও ধর্ষণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।

বাসটি বাওয়ার কুমারজানি নামক স্থানে এলে কয়েকজন কৃষক বাসে চিৎকারের শব্দ শুনে রাস্তার পাশে ছুটে এলে ধর্ষণকারীরা শিউলীকে হত্যার পর বাস থেকে ফেলে দিয়ে চলে যায়।

আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লাশ দেখতে পেয়ে হাইওয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে গোড়াই হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়।

শিউলীর অসহায় পরিবার যাত্রীবাহী বাসটি আটক ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার এএসআই লিপি আক্তার বলেন, মহিলার লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। থানায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।

শিউলীর পরিবার জানিয়েছে মামলার প্রস্তুতি চলছে।