মাধবপুরে করোনার প্রভাবে মাশরুম চাষী বিপাকে

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ০৫ ২০২০, ২০:১৩

শেখ জাহান রনি, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে করোনাভাইরাস মহামারিতে এখন চরম অর্থনৈতিক বিপাকে পড়েছেন মাশরুম চাষীরা।

রবিবার ৫ (মার্চ) মাধবপুর উপজেলা বাঘাসুরা ইউনিয়নের মাশরুম চাষী আরজান চৌধুরী ফোন কলে জানান, করোনার প্রভাব পড়েছে আমার মাশরুম চাষে। উপজেলা সদর থেকে আমার বাড়ি দূর হওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ। এজন্য আমি মাশরুম বিক্রি করতে পারছি না। প্রতি মাসে আমি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মাশরুম বিক্রি করতাম। কিন্তু এখন করোনার প্রভাবে গত ২৬ মার্চ থেকে আজ ৫ এপ্রিল মাশরুম বিক্রি না করতে পারায় এগুলো পঁচে যাচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে মাশরুম চাষ বন্ধ করে দিতে হবে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ২০০৬ সালে ৩ মাসের প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ২০০৭ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র থেকে মাশরুম উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর ৩ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে উনি মাশরুম চাষ শুরু করেন।

ব্যাঙের ছাতার মতো এক ধরনের ছত্রাকজাতীয় উদ্ভিদ মাশরুম। এটি খুবই পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণসম্পন্ন। এর খাদ্যোপযোগী অংশ সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। বিশ শতকের শুরুতে ইউরোপে প্রথম মাশরুমের চাষ শুরু হয়েছে। আশির দশকের শেষদিকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের উদ্যোগে মাশরুমের চাষ শুরু হয়। বাংলাদেশেও আধুনিক খাবার হিসেবে মাশরুমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটছে। কাঁচা অবস্থায় এতে ভিটামিন ‘বি’, রিবোফ্লাবিন, নায়াসিন ও প্যান্টোথেনিক এসিড থাকে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান সেলেনিয়াম, কপার ও পটাশিয়ামও মাশরুমে বিদ্যমান। আর এসব কারণেই দিন দিন মাশরুমের জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলা উপকৃষি কর্মকর্তা তাপস চন্দ্র দেব জানান, করোনাভাইরাস এখন আন্তর্জাতিক বিপর্যয়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে করোনার প্রভাব স্বাভাবিক হলে মাশরুম চাষী আরজান চৌধুরীকে সহযোগিতার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।