পটিয়া মাদরাসার প্রবীণ উস্তাদ মাওলানা মীর খলিলুর রহমানের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

আজ ১২ ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় আল্লামা বাবুনগরী বলেন,
মাওলানা মীর খলিলুর রহমানের ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত।তিনি মদীনা ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রীপ্রাপ্ত একজন উচু মাপের আলেম ছিলেন।দীর্ঘদিন যাবত তিনি পটিয়া মাদরাসায় ইলমি খেদমতের গুরু দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন।

মাওলানা মীর খলিলুর রহমান মরহুম মীর মোজাহেরুল হকের সুযোগ্য সন্তান ও পটিয়া মাদরাসার সাবেক মোহতামীম হাজী ইউনুস রহ.এর জামাতা ।তিনি উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বংশীয় একজন ব্যক্তি ছিলেন।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন,মরহুম মাওলানা খলিলুর রহমান এর সাথে আমার বেশ সু- সম্পর্ক ছিলো।বহুবার তাঁর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে।সদা তিনি হাসিমুখে কথা বলতেন। আমাকে তিনি খুব বেশি মুহাব্বত করতেন।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আল্লামা বাবুনগরী বলেন,তিনি যখন মদীনা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতেন আমি তখন জামিয়া বান্নুরী টাউন করাচিতে আমার প্রাণপ্রিয় শায়েখ বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা ইউসুফ বান্নুরী রহ.এর নিকট উলুমুল হাদীস পড়তেছি।উভয়ে
পড়াশোনা শেষ করে দেশে আসার পর আমি জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসায় হাদীসের খেদমতে নিয়োজিত হই।একবার কোন এক কাজে তিনি বাবুনগর মাদরাসায় আসলে একান্ত আলাপচারিতায় জামিয়া বান্নুরী টাউন করাচীর প্রসংশা করতে গিয়ে আমাকে বলেছিলেন,
আপনারা বান্নুরী টাউনে দুই বছরে ইলমে হাদীস সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে পরিমাণ কিতাবাদী মুতালায়া(অধ্যয়ন)করেছেন মদীনা ইউনিভার্সিটিতে দীর্ঘ চার বছরেও আমরা তা করতে পারিনি।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মহান প্রভুর দরবারে আমি দুআ করি, আল্লাহ তাআলা তাঁর সকল দ্বীনি খেদমতকে কবুল করুন এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন, আমিন।