মহানবী (সা.) পৃথিবীর সর্বোত্তম আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ২৩ ২০২২, ১৪:২২

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমিরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন উসওয়াতুন হাসানাহ তথা সারা পৃথিবীর জন্য সর্বযুগের সকল ক্ষেত্রে সর্বোত্তম আদর্শ। তিনি ছিলেন মহান চরিত্রের অধিকারী ও মানবজাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত, মুক্তির দিশারী, বিশ্বের সর্বপ্রথম ইসলামি রাষ্ট্রের সুমহান স্থপতি। এক কথায় গোটা সৃষ্টি জগতের জন্য তিনি ছিলেন এক অনুকরণীয় মডেল বা আদর্শের দর্পণ।

তিনি বলেন, মহানবী (সা.) সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আইয়ামে জাহেলিয়াত বা বর্বরতার যুগকে অল্প দিনেই সোনালী যুগে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আদর্শ মানুষ আদর্শ পরিবার আদর্শ সমাজ আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে তিনি মহোত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। হযরত মুহাম্মাদ সা. ছিলেন আল্লাহর নবী, একজন আদর্শ শিক্ষক সমাজসেবক আদর্শ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রনায়ক। মহানবীর আদর্শের মাঝেই রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতের সকল সমস্যার সমাধান। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, ধর্ষণ, জুলুম-শোষন, অরাজকতাসহ সকল অপরাধের মূলোৎপাটন একমাত্র মহানবীর আদর্শভিত্তিক খেলাফত শাসনব্যবস্থার মাধ্যমেই করা সম্ভব। ইসলাম একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সর্বজনীন জীবন ব্যবস্থা। মদিনার অনুকরণে ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরী কর্তৃক আয়োজিত ‘বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সা.এর আদর্শ পৃথিবীর সর্বোত্তম আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরীর আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াঁজী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, হাজী জালালুদ্দিন বকুল, মাওলানা আবদুল মান্নান, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ লিটন চৌধুরী, মুফতী আখতারুজ্জামান আশরাফী, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হান্নান আল হাদী, আলহাজ্ব আব্দুর রকিব, মুফতী আল-আমীন, মুফতী জসিম উদ্দিন, মাওলানা রেজাউল করিম ও আবদুর রব প্রমুখ।

এছাড়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মুফতি আবুল হাসান কাসেমী ও মুফতী আবদুস সালাম।

মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, হযরত মহানবী সা. বিশ্ববাসীর জন্য যে উত্তম আদর্শ রেখে গেছেন তা সবার জন্য অনুসরণীয়। তিনি ছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার মহানায়ক। মদিনার সনদ নামে পৃথিবীর একমাত্র লিখিত সংবিধান কায়েম করে বিশ্বে যে শান্তির নজীর স্থাপন করে গেছেন তা অতুলনীয়।

ব্যক্তি জীবন ও রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব নবীর আদর্শ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ইসলামি রাজনীতি গণমানুষের কল্যাণে নিবেদিত। ইসলামের সকল বিধিবিধান পরিপূর্ণরূপে মানতে হলে ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, যারা মুসলিম নামধারী হয়েও কুরআনী শাসন ব্যবস্থার বিপক্ষে কথা বলে, ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থাকে আধুনিক যুগে অচল মনে করে তারা হয় চিহ্নিত ইসলামবিদ্বেষী, মুনাফিক নতুবা নিরেট মূর্খ। মহানবীর আদর্শ কিয়ামত পর্যন্ত সকলের জন্য যেমন অনুসরণীয় ঠিক তেমনিভাবে ইসলামি শাসনব্যবস্থাও কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের সকল ব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম।

বক্তারা বলেন, আল্লাহর প্রদত্ত দ্বীনইসলাম ও মহানবী সা. এর আদর্শ পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্যই হাফেজ্জী হুজুর রহ. জীবনের শেষ পর্যায়ে ঐশী ইশারায় রাজনীতির ময়দানে পদার্পণ করেছিলেন এবং ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলেছেন। সমাজ ও রাষ্ট্রে ইনসাফ কায়েমে খেলাফত পদ্ধতি সরকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।