ভিকারুননিসায় এক টিসিতেই ১০ লাখ আয়

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ০৮ ২০১৮, ১২:৪০

সাম্প্রতিক ভিকারুননিসা স্কুলে এক ছাত্রীর আত্নহত্যা
ভর্তি বাণিজ্য, অতিরিক্ত ফি আদায়, অভিভাবকদের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণসহ নানা অনিয়মে এবার আলোচনায় রয়েছে স্বনামধন্য এই স্কুলটি। অভিভাবকদের অভিযোগ, দিনের পর দিন অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সভাপতির একক কর্তৃত্বের কারণে স্বেচ্ছাচারী প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে স্কুলটি।

এছাড়া অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের মধ্যে দুইজন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা। তাদের মতে, যে শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার চেয়ে পলাতক দুই শিক্ষক ঘটনার চেয়ে বেশি সম্পৃক্ত। এদিকে টানা আন্দোলনের পর স্বাভাবিক হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম। নিয়মিত ক্লাস না থাকলেও ৫ ডিসেম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তবে, তাদের চোখে মুখে নেই সেই উচ্ছ্বাস। অনেকটাই নিরব চারদিক।

সহপাঠীরা বলেন, ‘আমরা আজ তাকে (অরিত্রী) ছাড়া পরীক্ষা দিচ্ছি, খারাপ তো লাগবেই। আমরা আশা রাখছি আমাদের দাবি সম্পূর্ণ মেনে নিবে।’ তবে নানা অনিয়ম নিয়ে আজও(শুক্রবার) প্রতিবাদ মুখর ছিল অভিভাবকরা। তারা বলেন, ‘একটি ছাত্রীকে টিসি দিয়ে বের করে দিলে, আরেকটি ছাত্রী ভর্তি করা যাবে। তাহলে নগদে ১০ লাখ টাকা আয় হয়ে যাবে। প্রতিটি শিক্ষকের মাথায় এটি ঘোরে।’ অভিভাবকরা আরো বলেন, ‘প্রতিটি সেশনে ৭০ জন থাকার কথা। সেখানে ১০০-১১০ জন ভর্তি হচ্ছে। এটা কিভাবে সম্ভব? এটা ভর্তি বাণিজ্য হয়েছে তা না হলে কিভাবে হলো।’ তারা বলেন, ‘এদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা যায়। কিন্তু ভিকারুননেসা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করা দুষ্কর।’ এদিকে, খোদ গভর্নিংবডির সদস্যরাই অভিযোগ তুলছেন বর্তমান কমিটি নিয়ে। তবে এই টালমাটাল পরিস্থিতি কাটিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি পুরনো রূপে ফিরবে বলেই প্রত্যাশা তাদের। অভিভাবকরা বলেন, ‘আমাদের আশা, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। আসামিরা যাতে আদালতে হাজির হোন। আর ছাত্রী এবং শিক্ষকদের মধ্যকার দূরত্ব যাতে দূর হয়।’ গত সোমবার নিজের একটি ভুলের কারণে শিক্ষকের কাছে বাবা-মায়ের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী। পরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে অব্যাহতি দেয়া হয় অধ্যক্ষসহ অভিযুক্ত ৩ শিক্ষককে।