বিত্তশালীদেরকে ভিক্ষুক নাজিম উদ্দীন থেকে শিক্ষা নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ২৭ ২০২০, ১৩:০৯

নূরুজ্জামান সরকার নীহার বকুল:

আজ রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সময় এ সময়ের আলোচিত নাম,অসহায় সেই নজিমউদ্দিনের ঘটনাটা তুলে ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপ করে বলেন, ‘বিত্তশালীদের শুধু নাই নাই ভাব, অথচ নজিমুদ্দিনকে দেখেন; কত বড় মহান তিনি কত বড় তার মন মানসিকতা।

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গান্ধীগাঁও গ্রামের ‘ভিক্ষুক’ নজিমুদ্দিনের(৭০) কথা বলে বিত্তশালীদের লজ্জায় ফেললেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শান্তিরদূত দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আজ রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেরপুরের একজন সহায় সম্বলহীন মানুষ নজিমুদ্দিন, তিনি বহু কষ্টে জমানো ১০ হাজার টাকা করোনার ত্রান তহবিলে দিয়ে দিলেন। আর বিত্তশালীদের মধ্যে শুধু ‘নাই নাই’ ভাব।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিনমজুরি করতে গিয়ে ৮–৯ বছর আগে তাঁর পা ভেঙে যায়। সেই থেকে ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছেন। কিন্তু করোনা সংকটকালে তিনি যে উদাহরণ সৃষ্টি করলেন, তার কোনো তুলনা চলে না। নিজের ভাঙাচোরা ঘর ঠিক করতে বহু বছর ধরে বহুকষ্টে ১০ হাজার টাকা জমিয়ে ছিলেন নাজিমুদ্দিন। অথচ সেটাই ত্রাণ তহবিলে দিয়ে দিলেন। এত বড় মন তার। তার তো ইচ্ছা হতে পারতো ওই টাকাটা দিয়ে খাবার কিনতে, জামা কিনতে। কিন্তু তিনি তা করেননি। তার কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।

প্রসঙ্গত যে, ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্ধীগাঁও গ্রামের মৃত ইয়ার উদ্দিনের ছেলে নাজিমুদ্দিন। দেশে অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে সম্প্রতি গান্ধীগাঁও গ্রামের কর্মহীন দরিদ্র মানুষদের ত্রাণ সহায়তা দিতে প্রশাসনের নির্দেশে তালিকা করা হয়। তখন পরিচয়পত্র দেখিয়ে নজিম উদ্দিনকে তালিকাভুক্ত হওয়ার অনুরোধ করলে তিনি রাজি হননি।বরং তার জমানো ১০ হাজার টাকা উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো শেরপুরের সেই ভিক্ষুককে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।সেই সাথে আর যেনো ভিক্ষা না করতে হয়,সে জন্য সকল সহয়তা দেওয়া হবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন হতে।