বাহুবলে আঞ্চলিক রাস্তাগুলোর বেহাল দশা, দেখার কেউ নেই

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ৩১ ২০১৮, ১৮:৪২

শাহ মোঃ দুলাল আহমেদ,বাহুবল হবিগজ প্রতিনিধিঃ

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার কয়েকটি আঞ্চলিক রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তার বেহাল দশা দেখলে মনে হবে দেখাশুনার কেউ নেই আদৌ।

 

বাহুবল উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নবাসীদের যাতায়াতের রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ফলে রাস্তাটিতে সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচল করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা।

এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ২০/২৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে আসছে। স্কুল,কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছে।

একজন কলেজ ছাত্র জানায়, রাস্তাটি প্রসস্ত এবং সংস্কার না হওয়ায় আমরা প্রতিদিন এক্সিডেন্টের আশংকা নিয়ে আমাদের কলেজে যেতে হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রাস্তায় প্রতিমহুর্তে ২/৩ যাত্রীবাহী সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সা চলে থাকে।
প্রতিনিয়ত চলাচল করে মালবাহী ট্রাক, পিকআপ। যানবাহনের তুলনায় বাহুবল টু সোয়াইয়া,বক্তারপুর রাস্তা খুবই ছোট। দুইটা গাড়ি ক্রস করলে রাস্তায় আর অবশিষ্ট জায়গা থাকে না। ফলে রাস্তার পাশ দিয়ে পথচারীদের চলাচল খুবই ভয়ংকর।
যার ফলে কিছুদিন আগেও এক্সিডেন্টে মারা গেছেন ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের এক বাসিন্দা।

আলাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃআরশাদ জানান, চলিতাতলা থেকে সাতকাপন ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বক্তারপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার পিচঢালা রাস্তা।
এই রাস্তায় প্রতিনিয়ত কয়েকশ’ সি.এন.জি
মাহেন্দ্র ট্রাক্টর ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চলাচল করে থাকে।

বাহুবলে উপজেলার ৩ নং সাতকাপন ইউ/পির বক্তারপুর, সারংপুর,মহব্বতপুর সোয়াইয়া,রসুলপুর, জগতপুর, জারিয়া, হরাইটেকা,মানিকা বাজার,অলুয়া, ভেড়াখাল, গোশাই বাজার, নারিকেলতলা গ্রামের, তথা ৩নং সাতকাপন ইউ.পির প্রায় তৃতীয়াংশ লোকজনের একমাত্র অবলম্বন এই রাস্তা। কিন্তু রাস্তাটির নারিকেলতলা গ্রামের ১ কিলোমিটার এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ।

অটোচালক কবির জানান, রাস্তাটির পিচ উঠে বড় বড় গর্তে রূপ নিয়েছে। যানবাহনগুলি প্রায়ই দুর্ঘটনায় পতিত হয়। বাহুবল টু সোয়াইয়া রাস্তা সংস্কার ও প্রসস্ত করা না হলে গাড়ি চালানো বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রায় ৫শ’ থ্রি-হুইল চালক বেকার হয়ে পড়বে।


একই এলাকার সৈয়দ মিয়া বলেন, দুর্ঘটনার কবলে পরে হাত-পা ভেঙ্গে হাসপাতালে অবস্থান করছে এই এলাকার অনেক মানুষ। এছাড়া মাঝেমধ্যেই ধান বোঝাই ট্রাকসহ ভারী যানবাহন প্রবেশ করায় রাস্তাটি আরও খারাপ হয়ে গেছে। রাস্তাটি সংস্কার ও প্রসস্তকরণ করার দাবী জানাচ্ছেন এলাকার সাধারন মানুষ।

বাহুবল -শংকরপুর ফতেহপুর রাস্তারটি চলাচলের অনুপযোগী। প্রতিদিন ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা।

হবিগঞ্জের বাহুবল থেকে চলে গেছে আঞ্চলিক রাস্তা, যে রাস্তা চলিতাতলা লিংক এবং গোশাইবাজার হয়ে বয়ে গেছে ফতেহপুর পর্যন্ত। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে পায়ে হাটারও অনুপযোগী হয়ে পরেছে। ফতেহপুর শংকরপুর খরিয়া গ্রাম এই তিন গ্রামের একমাত্র রাস্তা এটি। যে রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকহাজার স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে আসছে।

গোশাইবাজার থেকে ফতেহপুর রাস্তা।

প্রায় ১৫/১৬ বছর আগে গোশাই বাজার থেকে ফতেহপুর রাস্তা টি উদ্ভোধন করেন সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী প্রয়াত এসএম কিবরিয়া।

দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না হওয়ার কারনে রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। শংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মাসুক মিয়া জানান, মুনিমচৌধুরী বাবু এমপির পক্ষ থেকে ডিও পত্র জমা দেয়ার পরেও রাস্তা সংস্কার করণের কোন লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না।

স্থানীয় একজন ক্ষোভের সাথে জানান, রাস্তা সংস্কারের জন্য আমরা গ্রামবাসি দীর্ঘদিন অপেক্ষায় আছি, কোন নেতৃবৃন্দ কি আমার যাতায়াতের অনুপযোগী রাস্তা দেখেন না? আমরা তো আর কিছু চাই না কারো কাছে, আমাদের রাস্তা মেরামত করে দিলেই আমরা বেজায় খুশি।

এলাকাবাসীর একটাই দাবি, দ্রুত আমাদের রাস্তা সংস্কার চাই। নিরাপদ সড়ক চাই। তারা স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।