বাহুবলে অসহায় আব্দুল আলীর পাশে দাঁড়ালো লন্ডনের তিন যুবক
একুশে জার্নাল
মার্চ ১৯ ২০১৯, ০৪:৫৪
শাহ মুহাম্মদ দুলাল আহমেদ, বাহুবল (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি:
বাহুবলে অসহায় দরিদ্র আব্দুল আলীর (৪৫)পাশে দাঁড়ালো লন্ডন প্রবাসী তিন যুবক।
মা-বাবা হারানো আব্দুল আলী কঠিন এক বিপর্যয়ের মধ্যে জীবন যাপন করছিলেন। অনাহারে অর্ধাহারে বস্ত্রহীন দিন যাপন করছিলেন আব্দুল আলী।
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মোঃ মাসুক আহমেদ’র অনুরোধে গত বছরের ১১ডিসেম্বর ২০১৮ইং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আব্দুল আলীর সার্বিক বাস্তব পরিস্থিতি ছবিসহ সাহায্যের আবেদন তুলে ধরেন একুশে জার্নাল প্রতিবেদক শাহ মুহাম্মদ দুলাল আহমেদ।
ফেইসবুকে সাহায্যের আবেদন করার মাত্র একদিন পরেই উপজেলার সোয়াইয়া গ্রামের কামরান শরীফ নামে এক যুবক প্রতিবেদকের ইনবক্সে বার্তা পাঠান।
এই বার্তায় কামরান শরীফ লিখেন, “ভাই আপনি ‘আব্দুল আলী’ নামে যে অসহায় লোকটির সাহায্যের আবেদন ফেইসবুকে লিখেছেন, সেই আব্দুল আলীর অসহায়ত্বে সকল তথ্য আমি আমার ভাইয়ের কাছে পাঠিয়েছি।
উনি (আমার ভাই) কি বলেন এসব বিষয়ে জেনে আমি আপনাকে জানাবো।”
দুই -তিন দিন পর কামরান প্রতিবেদককে জানান, আব্দুল আলী দ্রত কয়েক দিনের মধ্যে লন্ডন থেকে সাহায্য পাবেন। প্রতিবেদক আশ্বস্ত হয়ে এ সাহায্যের খবর টি জানান অসহায় আব্দুল আলীকে ।
তারই ধারাবাহিকতায় গত কাল ১৭ মার্চ রোজ রবিবার লন্ডনের প্রতিনিধিদল গরীব অসহায় আব্দুল আলীর বাড়ি আসেন।
প্রতিনিধি দল আব্দুল আলীর বসত ঘর দেখে হতবাক হন। নবজাতক এক শিশুকন্যার কান্না দেখে আব্দুল আলী ও তার স্ত্রীকে সান্ত্বনা দেন।
এসময় আব্দুল আলীর স্ত্রী কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, বাচ্চার চিকিৎসার টাকার অভাবে মাত্র দেড় মাসের শিশুকে নিয়ে ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে মানুষের কাছে সাহায্য চাইতে হচ্ছে। এত কষ্টে দিন কাটাচ্ছি মনে হয় এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেই শান্তি পাব।
এসময় প্রতিনিধি দলের কামরান শরীফ সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আমরা আপনাদের দেখার জন্য এসেছি।
কামরান এসময় জানান, লন্ডনে আমার ভাই, বন্ধু আরও দুই জন মিলে আপনাকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। যার জন্য আমরা লন্ডনের প্রতিনিধি হয়ে আপনাদেরকে দেখতে এসেছি।
এসময় প্রতিনিধি দল আব্দুল আলীকে নগদ দুই হাজার টাকা সাহায্য প্রদান করেন এবং প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা লন্ডন থেকে সাহায্য আসবে বলে আশ্বাস দেন।
প্রতিনিধি দলকে সাহায্য কোথা থেকে এবং কে দিল এমন প্রশ্ন করলে উত্তরে কামরান বলেন, লন্ডনে তিন বন্ধু যৌথ ব্যবসা থেকে এর লভ্যাংশ গরীব অসহায়দের মাঝে বিতরন করেন। এই সাহায্যকারীরা হল মুক্তাদির কায়েস (বাংলাদেশ), জাফর আহমদ (ভারত), সাজিত আহমদ (পাকিস্তান)।
এসময় প্রতিনিধি আব্দুল আলীর জরাজীর্ণ ঘরকে সংস্কার করে দিবেন বলে কথা দেন ‘তারা’।