বালাগঞ্জে থানায় অভিযোগ করায় মারধর ও হত্যার চেষ্টা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ১৩ ২০২৩, ০০:২৬

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গৌরীপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মকবুল আলীর মৌরসি জমির উপর তার চাচাতো ভাই সম্প্রতি জোরপূর্বক একটি সরকারি নলকূপ স্থাপনের কাজ চলাকালে মকবুল আলী বালাগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ করায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (০৯ মার্চ) সন্ধ্যায় মারধর ও হত্যার চেষ্টা করেন আনহার মিয়া। অভিযোগকারী মকবুল বালাগঞ্জ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

সূত্র জানায়, একই দাগে ২৬ শতাংশ ভূমি রয়েছে। এরমধ্যে মৌরসি সত্ত্ব মকবুল আলী ও আনহার মিয়া সাড়ে ৭ শতাংশ করে জমি পান। মকবুল আলী পূর্বদিক এবং আনহার মিয়া পশ্চিম দিকে। আনহার মিয়ার সাড়ে ৭ শতাংশের উপরে বাসগৃহ স্থাপন করেছেন। পূর্বদিকে মকবুল আলীর জমির উপর জোরপূর্বক একটি ধান ভাঙার রাইসমিল স্থাপন করেছেন আনহার মিয়া। তবে জমিটি ভাটোওয়ারানামা হয়নি এখনো। মৌখিক ভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত মিলে পূর্ব দিকে মকবুল ও পশ্চিমে আনহার কে দেন। এদিকে সম্প্রতি আবার আনহার মকবুলের জমির উপর একটি সরকারি নলকূপ করার চেষ্টা করলে বিষয়টি সিলেট-৩ সাংসদ ও স্থানীয় প্রশাসন ইউএনও কে বিষয়টি অবগত মকবুল আলী। ইউএনও কাজটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা যায়। ইউএনও’র নির্দেশকে অমান্য করেই রাতের আঁধারে ৬শত ফুট গভীর নলকূপ স্থাপন করেন। নলকূপ মিস্ত্রি আনহার মিয়ার চাপে, বলেন নলকূপ মিস্ত্রি শাহীন মিয়া ও ঠিকাদান কন্টু মিয়া। এতে আবারো মকবুল বাঁধা দিলে তাকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন আনহার মিয়া। এবিষয়ে বালাগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মকবুল আলী। যা প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। বালাগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে নলকূপের কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে আসেন।

অভিযোগকারী মকবুল আলী বলেন, আমার মৌরসি সত্ত্বের উপর আনহার ধান ভাঙার একটি রাইসমিল করেছেন। আবার টিউবওয়েল স্থাপন করলে আমি এমপি সাব ও ইউএনও সাবের দ্বারস্থ হই। ইউএনও সাব টিউবওয়েল কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেন। টিউবওয়েলের মিস্ত্রি তা অমান্য করলে আমি বালাগঞ্জ থানায় অভিযোগ করি। অভিযোগ করায় আমাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি যাওয়ার পথে মারধর ও হত্যার চেষ্টা করেন আনহার।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আনহার মিয়া বলেন, আমি আমার জমিতে নলকূপ স্থাপন করছি। ইউএনও ম্যাডামের নির্দেশে কাজটি বন্ধ আছে এখন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আপ্তাব মিয়া জানান, তাঁদের জায়গা জমিনের সমস্যা বহু আগের। স্থানীয়রা অনেকবার বসে সমাধান করতে পারেন নি।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, নলকূপ স্থাপন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। বিষয়টি ইউএনও স্যারও অবগত আছেন।

বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় বিজ্ঞ আদালত দেখবেন। ফৌজদারি বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিচ্ছি।