বরিশাল শিক্ষা বোর্ড: পদোন্নতি নিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতি

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুন ২৫ ২০১৯, ২১:২৬

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পদোন্নতি নিয়ে আওয়ামী লীগপন্থি কর্মচারীদের সঙ্গে বিএনপিপন্থিদের হাতাহাতি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুসের কক্ষে তার উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। হামলার অভিযোগ তুলে বিচারের দাবিতে বোর্ড ভবনে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপিপন্থি কর্মচারীরা।

শিক্ষা বোর্ড সচিবের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বোর্ডের স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়া যায় কি-না, সে সম্পর্কে একটি সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য এদিন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। বোর্ড সচিব অধ্যাপক বিপ্লব কুমার ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত আদেশে কমিটিতে বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক আব্বাস উদ্দিন খানকে আহ্বায়ক এবং উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মামুন হোসেনকে সদস্য করা হয়।

বোর্ড সূত্র জানায়, কমিটি ঘোষণার পরপরই এর প্রতিবাদ জানিয়ে বোর্ড শ্রমিক লীগ সভাপতি কাজী আ. জলিলের নেতৃত্বে একদল কর্মচারী চেয়ারম্যানের কক্ষে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। তারা যাওয়ার পরপরই সেখানে আসেন কর্মচারী সংঘের সাবেক সভাপতি ও বোর্ড শ্রমিক দলের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ বিএনপিপন্থিরা। অভিযোগ রয়েছে, তাদের নেতৃত্বে ছিলেন কর্মচারী সংঘের বর্তমান সভাপতি আওয়ামী লীগপন্থি আবু জাফর। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষ তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়।

বোর্ড শ্রমিক লীগ সভাপতি কাজী আ. জলিল জানান, বিএনপিপন্থি কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়ার জন্য কমিটি করার বিষয়টি জানতে পেরে তারা চেয়ারম্যানের কক্ষে যান। তখন শ্রমিক দলনেতা শহিদুল ইসলাম অনুসারীদের নিয়ে সেখানে প্রবেশ করে তাদের ওপর চড়াও হন। তিনি বলেন, বোর্ডে পদোন্নতির জন্য সিলেকশন কমিটি রয়েছে। এর বাইরে অন্য কোনো কমিটি গঠন করা বিধিবহির্ভূত। আমরা সেটার প্রতিবাদ করেছি।

শ্রমিক দল সভাপতি ও সেকশন অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, পদোন্নতির জন্য কমিটি গঠন করায় শুভেচ্ছা জানাতে চেয়ারম্যানের কক্ষে গিয়েছিলেন তারা। কারও ওপর হামলা চালাননি।

বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস সমকালকে বলেন, কারও পদোন্নতি দেওয়ার জন্য নয়, বোর্ডের জনবল কাঠামোর পুরো বিষয়টি অবহিত হওয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ নিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।