প্রিয়া সাহার ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা রহস্যজনক ; বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ২৬ ২০১৯, ১৭:৫৯

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ বলেছেন, সম্পীতি ও সকল ধর্মের সহাবস্থানের এক অনন্য নজীর সৃষ্টিকারী রাষ্ট্রের নাম বাংলাদেশ। এদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট হলেও এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান সকলেই যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে আসছে। এমন একটি শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রের শান্তি বিনষ্ট করা ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খর্ব করার পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে কিছু কুচক্রি মহল। তাদেরই দোসর হলো প্রিয়া সাহা। এই প্রিয়া সাহা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে যে মায়াকান্না করেছে এটা একদিকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে জঘণ্য প্রোগ্রাগান্ডা, সাথে সাথে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করি। কাজেই অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। সাথে সাথে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের সকল কার্যক্রম বন্ধেরও আহ্বান জানাচ্ছি।

আজ (২৬ জুলাই) শুক্রবার বাদ জুমআ বাইতুল মুকাররমের উত্তর গেটে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর এক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন খানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মুফতি আবদুল মুমিনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, যুব মজলিস সভাপতিম-লির সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা আমানুল্লাহ, মাওলানা রেজওয়ান হুসাইন, মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা শরীফ হুসাইন, মাওলানা জাহিদুজ্জামান, মাওলানা আসাদুল্লাহ সাদী, মাওলানা আবদুল্লাহ সাদ, মাওলানা আবদুল্লাহ আশরাফ, মো. জাবেদ হোসাইন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, প্রিয়া সাহার ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নমনীয় কথাবার্তায় দেশের সাধারণ নাগরিক চরমভাবে হতাশ হয়েছে। কেননা এই প্রিয়া সাহা দেশকে একটি গুম-খুনের রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে। কাজেই তাকে দেশে ফেরত এনে এই ষড়যন্ত্রকারীদের হোতাদের সনাক্ত করতে হবে।

বক্তাগণ আরো বলেন, গত ১১ জুলাই চট্টগ্রামে প্রায় ৩০ হাজার মুসলমান মাছুম শিশুদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করে তাদেরকে ‘হরি রাম হরি কৃষ্ণ’ শ্লোগান দিতে বাধ্য করেছে। তাদের এ ঘৃণ্য কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং বাংলাদেশে ইসকনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

বক্তাগণ আরো বলেন, আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মুসলমানদের উপর দিন দিন নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলছে। যদি ভারতীয় মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ করা না হয় তাহলে বাংলাদেশ যেভাবে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার প্রতিবাদের ভারত অভিমুখে লংমার্চ করেছিল তেমনি মুসলিম নির্যাতন বন্ধের প্রতিবাদের আবারো লংমার্চের ডাক দিতে বাধ্য হবে।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড় হয়ে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে সুরমা টাওয়ারের সামনে এসে সমাপ্তি ঘোষণা করে।