প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চামেলীকে ঢাকায় আনা হলো

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ০২ ২০১৮, ১১:১৮

আর্থিক অনটনে প্রায় ৮ বছর ধরে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকছিলেন চামেলী খাতুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জাতীয় দলের সাবেক এই নারী অলরাউন্ডারের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। মেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতার আশ্বাস।

এরই অংশ হিসেবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়েছে এক সময়ের মাঠ কাঁপানো চামেলী খাতুনকে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হয় চামেলীকে। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেওয়ার কথা রয়েছে।

চামেলীর সঙ্গে রয়েছেন তার মা ও বোনসহ পরিবারের তিনজন সদস্য। এ ছাড়া রয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট। বিএসএমএমইউতে নেওয়ার আগে চামেলীকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা চামেলীর বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তারা তাকে ঢাকায় আনার কথা জানান। এরপর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ঢাকা আসতে সম্মত হন চামেলী। এরপরই শুরু হয় চামেলীকে ঢাকায় আনার কার্যক্রম।

চামেলীর সঙ্গে রয়েছেন তার মা ও বোনসহ পরিবারের তিনজন সদস্য। ছবি: সংগৃহীত
সকালে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে চামেলীকে দরগাপাড়া এলাকার বাসা থেকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। বাড়ি থেকে বিমানবন্দরে নেওয়া পর্যন্ত চামেলীর সঙ্গে ছিলেন আনসার ভিডিপির একজন সদস্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকায় আরেকজন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক চামেলীর সঙ্গে থাকবেন।

চামেলী খাতুনের পরিচয়, তিনি নারীদের জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন সাবেক ক্রিকেটার। ১৯৯৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মাঠ কাঁপিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের হয়ে। কেবল ক্রিকেট নয়, সমানতালে খেলেছেন ফুটবল। অ্যাথলেটিক্সেও ছিলেন সমান পারদর্শী।

মাঠের সঙ্গে চামেলীর সম্পর্কের ছেদ পড়ে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায়। এরপর জীবিকার তাগিদে তিনি চাকরি নিয়েছিলেন আনসার-ভিডিপি অফিসে। কিন্তু লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়াসহ মেরুদণ্ডের হাড়ে ব্যথা নিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি।

চামেলীকে অতি দ্রুত দেশের বাইরে সার্জারি করানোর পরামর্শও দিয়েছেন চিকিৎসক। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা। কিন্তু এই টাকা চামেলীর দরিদ্র পরিবারের পক্ষে জোগান দেওয়া সম্ভব নয়।