প্রণব মুখার্জি মৃত্যুতে আগামীকাল বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ০১ ২০২০, ১৮:৫১

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে বাংলাদেশে বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে। জাতীয় পতাক অর্ধনমিত রাখা হবে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।

মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

সেখানে বলা হয়েছে, সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ভারতের প্রাক্তন প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয়ভাবে একদিনের শোক পালন করা হবে।

এ উপলক্ষে ওইদিন বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশে মিশনসমূহ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপন উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া, ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির জন্য ০২ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ভারতের রাজধানী দিল্লির সেনা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷

এর আগে, গত ০৯ আগস্ট রাতে প্রণব মুখার্জি বাথরুমে পড়ে যান ভারতের সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। পরদিন ১০ আগস্ট সকালে ডান হাত অবশ হতে থাকায় দ্রুত প্রণব মুখোপাধ্যায়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে চিকিৎসকরা অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। অপারেশনের আগে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

প্রণব মুখার্জির অস্ত্রোপচার হয়। এতে মাথায় জমাট বাঁধা রক্ত বের করা হয়। রাতেই তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়৷ ১০ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তির আগেও প্রণব মুখার্জি নিজেই টুইট করে জানান, তাঁর করোনা পজিটিভ৷

এদিন রাতে চিকিত্‍সায় সাড়া দিলেও ১১ আগস্ট থেকে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুলেটিনে জানায়, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তারপর থেকেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।

২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সে বছর জুলাইয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়তে চাননি তিনি। বরং রাজনীতি থেকে অবসর নেন। ৫০ বছরেরও বেশি সময় সক্রিয় রাজনীতিতে থাকা প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ২০১৯ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারত রত্নে ভূষিত করা হয়।

১৯৯৭ সালে তিনি সেরা সাংসদ পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০০৮ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মান পান তিনি।