পিতার হাতে নিজ সন্তান হত্যার অভিযোগ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ২৬ ২০২০, ০৫:০৮

মোঃ উজ্জ্বল (আশুলিয়া প্রতিনিধি) :

কিশোরগঞ্জ নিকলীতে আজ শনিবার শামীম মিয়া নামের এক পিতার বিরুদ্ধে শিশু কন্যা মায়মুনাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।শিশুটির বয়স নয় মাস। ঘটনা ঘটেছে নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের বাঘুয়াখালী গ্রামে।সন্ধ্যায় মায়মুনার লাশ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত শিশুর মা খাইরুন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শামীম মিয়া ও তার প্রথম স্ত্রী সেলিনার ঘরে ২ পুত্র সন্তান। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শামীম মিয়ার সাথে কারপাশার গ্রামের খায়রুনের প্রেমের সম্পর্ক হয়।প্রথম স্বামীকে ছেড়ে প্রায় ২ বছর পূর্বে খায়রুন চলে আসে শামীম মিয়ার কাছে। দ্বিতীয় বিয়ার কারণে প্রথম স্ত্রী সেলিনা সাথে শামীম মিয়ার ঝগড়া কলহ লেগেই থাকতো।

এর মাঝেই খায়রুনের গর্ভে আসে মায়মুনা। প্রথম স্ত্রী চাপে শুরু থেকেই মায়মুনাকে পৃথিবীতে আনতে চায় না শামীম,খায়রুনের একান্ত প্রচেষ্টায় পৃথিবীর মুখ দেখে মায়মুনা। শিশু টিকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের চত্রুান্ত। ২ মাস বয়সে পাষন্ড পিতা ব্লেড দিয়ে মায়মুনার গুহ্যদ্বায় ও যৌনাঙ্গ কেটে দেয়। চিকিৎসায় বেচেঁ যায় শিশুটি।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটিকে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে শামীম মিয়া। ঘটনার পর পরই নিকলী হাসপাতালে আনা হয় মায়মুনাকে।করোনার প্রভাবে সাময়িক ভাবে নিকলী হাসপাতালটি লকডাউনে থাকায়, স্থায়ীভাবে চিকিৎসা করান মা খায়রুন।একই দিন রাত ১০ টায় মায়মুনাকে শামীম মিয়ার কাছে রেখে প্রাকৃতিক ডাকে বাইরে যায় খায়রুন।ফিরে এসে শিশুটিকে মাটিতে পরে থাকতে দেখেন। শনিবার ১০ টায় মায়মুনার মৃত্যু হয়।

শামীম মিয়া জোরপূর্বক মায়মুনার লাশ দাফন করতে চায় কিন্তু এলাকাবাসী বাধা দিয়ে নিকলী থানাকে ঘটনা অব্যহতি করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে মায়মুনার লাশ উদ্ধার করে।

নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শামসুল আলম সিদ্দিকী জানান,খবর পাওয়া মাত্রই লাশ থানায় আনা হয়।ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করি। অভিযুক্ত আসামী, শামীম পলাতক রয়েছে।