নেতাকর্মীদের এরেস্ট করছেন কেন? আমাকে এরেস্ট করেন

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ২৬ ২০১৮, ১৬:২৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের বিএনপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক তল্লাশী, ভাংচুরসহ ১২জন নেতাকর্মীদের আটক করে নিয়ে গেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।

দলীয় নেতাকর্মীদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি প্রার্থী খালেদ মাহবুব শ্যামল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমাকে নির্বাচন যখন করতে দেবেন না, নেতাকর্মীদের এরেস্ট করছেন কেন? আমাকে এরেস্ট করে নিয়ে যান। আমার কর্মীদের কী অপরাধ?’ কিন্তু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার কথার কোন কর্ণপাত করেননি।

বুধবার বিকেলে শহরের পুনিয়াউটে অবস্থিত শ্যামলের বাসায় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইসমাইলের নেতৃত্বে অভিযানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি সদস্য অংশ নেয়। দুপুর ২:৪০ থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রায় দুইঘন্টা অভিযান চলে। অভিযানকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্র্জ মোঃ সেলিম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল হক ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে ধানের শীষের প্রচারণার উদ্দেশ্যে গণসংযোগে বের হবার জন্য কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী দলীয় প্রার্থী শ্যামলের বাসায় এসেছিলেন। এসময় হঠাৎ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তার বাসায় অভিযান চালায়। এসময় সেখানে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দলের মহিলা কর্মীরা ভয়ে ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়ে।

যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বাসার কয়েকটি রুমের দরজার তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাব পত্র ভাংচুর ও তছনছ করে তল্লাশি চালায়। এসময় তারা বাসা থেকে ল্যাপটপ এবং সিসিটিভি মনিটরিং সিস্টেম জব্দ করে নিয়ে যায় এবং ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধারের নাটক সাজায়।

অভিযানে শ্যামলের বাসা থেকে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক পর্যায়ের ১২জন নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা। আটকরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবি এম মুমিনুল হক, দপ্তর সম্পাদক ভি পি লিটন চৌধুরী, বিএনপি নেতা এডভোকেট ইমাম হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি অথৈ মোল্লা, শহর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হুদা সানি, মহসিন হুসেন রিদয় ও ওয়ারেছ প্রমুখ।

পুলিশের দাবি আটকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঘটনায় অভিযোগ রয়েছে। তবে প্রার্থী খালেদ হোসেন মাহবুর শ্যামল বলেন, পুলিশ কোন প্রকার কারণ ছাড়াই আমার বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ভাংচুর ও তছনছ করেছে। বিনা অপরাধে আমার দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে।