নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে হাতপাখার প্রার্থীকে শোকজ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ০৯ ২০২৩, ১৮:৫১

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরিশাল সিটি করপোরেশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবীর গতকাল সোমবার রাতে ফয়জুলকে এই নোটিশ দেন।

গতকাল সোমবার বিকেলে হাজারো মোটরসাইকেল নিয়ে নগরীতে শোভাযাত্রা করেন ফয়জুল করীম। তিনি ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশালে পৌঁছালে নগরের প্রবেশমুখ গড়িয়ারপাড় মোড় থেকে মোটর শোভাযাত্রা করে আলেকান্দা আমতলা মোড়ে নিয়ে যান দলীয় নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়, মোটরসাইকেল, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে নির্বাচনী প্রতীক হাতপাখা প্রদর্শন করে আচরণবিধি ৫ ৭ (ক) ১১ (২) ও ১৩ (৩) ধারা লঙ্ঘন করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী।

কাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত অথবা মৌখিক ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ফয়জুলকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁর আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনার খবর জানতে পেরে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আগেই মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করা হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী মিডিয়া সেলের সদস্য নাসির আহমেদ নাইস আজ মঙ্গলবার বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শোকজ নোটিশ নগরের চাঁদমারিতে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছানো হয়। ইসলামী আন্দোলনের মহানগরের সহসভাপতি মাওলানা নাসির আহমেদ কাওছার স্বাক্ষর দিয়ে নোটিশ গ্রহণ করেন।

নাইস আরও বলেন, শোকজ নোটিশটি ষড়যন্ত্রমূলক। গত ২০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বরিশালে পৌঁছালে ব্যাপক শোভাযাত্রা করা হয়। প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এর নেতৃত্ব দেন। এটাও আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে। তখন আওয়ামী লীগকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম সাংবাদিকদের বলেন, তিনি দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। তাই আইনিভাবে তিনি এখনো প্রার্থী নন। দীর্ঘদিন ঢাকায় অবস্থানের পর গতকাল সোমবার বরিশালে ফিরলে দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির হিসেবে উৎসুক নেতা-কর্মীরা তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। জেলা প্রশাসন ও মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি নিয়েই তা করা হয়েছে।