‘নিরাপত্তাহীনতায়’ বের হতে পারছেন না হাসিনা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ২৪ ২০১৮, ০৫:৩৩

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সংসদীয় আসনে নির্বাচনের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ। তিনি বলেছেন, আওয়ামী দুর্বৃত্তদের অব্যাহত সশস্ত্র হামলায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় সপ্তাহ ধরে প্রচারণা কাজ করতে না পেরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন তিনি।

তার অভিযোগ, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নেতৃত্বে চকরিয়া-পেকুয়ায় বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে।

রোববার সন্ধ্যায় পেকুয়ায় তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতোবিনিময়কালে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

হাসিনা আহমদ বলেন, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চকরিয়া ও পেকুয়া থানায় মামলা নিয়ে গেলেও পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদের নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা দিয়েছে।

তার দেয়া তথ্যমতে, চকরিয়া ও পেকুয়া থানায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। অতি তোষামোদিতে একজন পাগলকে গ্রেফতার করে পুলিশ ‘বিএনপি ক্যাডার’ বানিয়ে মামলা দিয়েছে।

হাসিনা আহমদের অভিযোগ, রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না তিনি।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়েই ১৩টি মামলা করেছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ পুলিশ ব্যবহার করে চকরিয়া ও পেকুয়া থানায় এসব মামলা করে সহস্রাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীকে ফাঁসিয়েছে। এসব মামলায় সংবাদকর্মী, বিদেশে অবস্থানকারি ও কারাগারে থাকা লোকজনকেও আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মো. হোসেন ওরফে হোসেন পাগলাকে চেনে না এমন মানুষ পেকুয়ায় নেই। তিনি যে পাগল সে কথাও সবাই জানেন। অথচ সেই পাগলকেই পুলিশ গ্রেফতার করে প্রধান আসামি বানিয়ে মামলা করেছে।

তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ এসব হামলা-মামলা করে বিএনপি নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের ভোট থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টা করছেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলম বলেন, আওয়ামী লীগের নৌকার গণজোয়ার দেখে পাগলের প্রলাপ বকছেন ধানের শীষের প্রার্থী। নিজেরাই ঘটনার জন্ম দিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।

আইন আইনের গতিতে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের অপকর্ম সম্পর্কে দেশবাসী অবগত।

পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুলিশ কাউকে অহেতুক হয়রানি করছে, এটি মিথ্যা অভিযোগ। সব অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে যেসব অভিযোগের প্রমাণ মেলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়। আর যা মিথ্যা বলে বিবেচিত হয় তা আমলে নেয়া হয় না।