ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও ইশা ছাত্র আন্দোলন

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ফেব্রুয়ারি ০৫ ২০১৯, ০৮:১১

শেখ ফজলুল করীম মারুফ

“ধর্মভিত্তিক রাজনীতি”। উপমহাদেশের রাজনীতিতে এর আক্ষরিক অর্থের বাহিরে নিজস্ব পারিভাষিক অর্থ রয়েছে।

সেই মুঘল আমল থেকে, বিশেষত ইংরেজ আমলে এদেশে বহু “ধর্মভিত্তিক” সংগঠন গড়ে ওঠে। যেগুলোর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিলো সেই ধর্মের সংস্কার বা উন্নয়ন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই সংগঠনগুলোর মুল কাজ হতো ভিন্ন ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ চর্চা করা। এই বিদ্বেষ চর্চা এতোটাই ভয়াবহ হতো যে, তা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রুপ নিতো।

সেই থেকে ভারত উপমহাদেশে “ধর্মভিত্তিক সংগঠন” পরিভাষাটা নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার হয়।

তাই আমরা “ধর্মভিত্তিক সংগঠন” পরিভাষার পরিবর্তে “ইসলামপন্থী” পরিভাষাটি ব্যবহার করি।

যারা ইসলামী রাজনীতি করে তাদেরকে ইংরেজিতে Islamist বলা হয়। Religious বলতে যা বোঝায় তা ভিন্ন জিনিস।

ইসলাম একটি পুর্নাঙ্গ জীবন বিধান। “ধর্ম” শব্দ দিয়ে ইসলামকে ব্যক্ত করলে যে পরিমান ভুল হয়, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনকে “ধর্মভিত্তিক সংগঠন” বললে সেই পরিমান ভুল হয়।

আমরা “ইসলামভিত্তিক” সংগঠন। “ধর্মভিত্তিক সংগঠন” এই পরিভাষা “ইসলামভিত্তিক সংগঠন” এর পুরো পরিধিকে ধারন করতে পারে না এবং “ধর্মভিত্তিক সংগঠন” এই পরিভাষার ঐতিহাসিক নেতিবাচক অর্থের কারনে আমরা সচেতনভাবে “ধর্মভিত্তিক সংগঠন” এই পরিভাষা এড়াতে চাই।

আমরা আমাদের পরিচয়ে “ইসলামভিত্তিক সংগঠন” এই পরিচয়কে প্রধানকরে তুলতে চাই। যাতে করে আমাদের বিরুদ্ধবাদীরা একটা কৌশলগত সমস্যায় পড়ে। কারন তখন তাদের দাবী করতে হবে “ইসলামভিত্তিক সংগঠন” নিষিদ্ধ করো। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই দাবী করা যেকারো জন্য বিপদজনক।

বর্তমান “ধর্মভিত্তিক সংগঠন” এই পরিভাষা ব্যবহার করে আদতে তারা “ইসলামভিত্তিক সংগঠন” এরই নিষেধাজ্ঞা চায়। কিন্তু এতো বড় দুঃসাহস দেখিয়েও ওরা পরিভাষাগত কারনে ছাড় পেয়ে যায়।

অসাম্প্রদায়িকতার নামে ওরা যে মুলত ইসলাম বিদ্বেষী সেটা একটা পরিভাষা পরিবর্তন করেই আমরা জাতীকে দেখিয়ে দিতে চাই।

“ধর্মভিত্তিক সংগঠন” বিতর্কে এইটুকুই আমার বলার ছিলো।

আবারো বলি, আমরা আমাদের পরিচয়ে “ধর্মভিত্তিক সংগঠন” এর চেয়ে “ইসলামভিত্তিক সংগঠন” পরিভাষা ব্যবহারে বেশী সাচ্ছন্দ বোধ করি।

আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারন সম্পাদক, ক্যাম্পাসে ইসলামপন্থী রাজনীতির পরিচিত মুখ ছাত্রনেতা মাহমুদুল হাসানের বক্তব্যে যতটুকু শরয়ী দৃষ্টিকোণে ভুল ততটুকু বিনা অজুহাতে প্রত্যাহার করছি। শরয়ী দৃষ্টিকোণে কোন ভুল হয়ে থাকলে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাই

“নিশ্চই আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং সর্বজ্ঞ।