তাবলীগের অতীত বর্তমান : চার ফোঁটা চোখের জল

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০৭ ২০১৮, ০৮:২৯

আরিফ খান সা’আদ
[এক]
তাবলিগ জামাতের যাবতীয় বিভ্রান্তির নেপথ্যে ভারতের মেওয়াতি সম্প্রদায়। ইতিহাসে যারা বর্বর অসভ্য নিষ্ঠুর পূজারি লুণ্ঠনকারী হিসেবে প্রসিদ্ধ। বিশাল ভারতের সর্বোত্র ইংরেজ উপনিবেশ কায়েম হলেও মেওয়াত ছিলো আলাদা। মেওয়াতের সর্বশেষ ইংরেজ গভর্নরকেও কুপিয়ে হত্যা করেছিলো মেওয়াতিরা। মোঘল আমলেও মেওয়াত ছিলো শাসকদের নিকট একটা আতংকজনক স্থান। মেওয়াতিরা শিক্ষাকে সর্বদা উপেক্ষা করেছে। নিম্নশ্রেণির হিন্দু যদুরাজপুতেরাই ইসলাম গ্রহণ করে মেওয়াতি তাবলিগি নামে পরিচিত বর্তমানে। মেওয়াতিদের চরিত্র নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন আবুল হাসান আলি নাদাবি রহ.। তারিখে ফিরোজশাহী ও আইনে আকবরি গ্রন্থেও পাবেন।

উশৃংখল ও অশৃংখল মেওয়াতিরা যখন হযরত ইলয়াস রহ.এর মাধ্যমে প্রশান্তিময় জীবনের সন্ধান পেলো তখন তাদের পূর্ব স্বভাব অনুযায়ী হযরতজীর খান্দানের ভক্তপূজারীতে পরিণত হয়েছে। ফলে জিবিল সরানো সম্ভব হলেও জিবিল্লাত সরানো সম্ভব হয় নি। যেমন-
১। হযরত ইলয়াস রহ.এর নির্দেশনায় তাবলিগের ছয় ছিফাত প্রণেতা মাওলানা ইহতিশামুল হাসান রহ. তাবলিগের জন্য তালিমি নেসাবও প্রণোয়ন করছিলেন, ১৯৪৭ সালের পরপর। যেনো তাবলিগওয়ালাদের আধ্যাত্মিক আত্মোন্নয়নের সাথেসাথে জ্ঞানগত বুদ্ধিবৃত্তিক মনোবৃত্তিও গড়ে ওঠে। কিন্তু মেওয়াতিরা ইলয়াস রহ.এর রেখে যাওয়া তাবলিগে অন্যকিছুর সংযোজন মেনে নিতে নারাজ। যদিও তিনি ছয় ছিফাতের প্রণেতা হন, পস্তিকা ওয়াহেদ এলাজ বইয়ের প্রণেতা হন, যদিও ইলিয়াস রহ. বলেন যে তাবলিগ হবে আমার আর তালিম হবে আশরাফ আল থানবী সাহেবের! ফলে কী হলো? তাবলিগ জামাতের অন্যতম রুহানি বুনিয়াদ এই আলেমকে নিজামুদ্দিন ত্যাগ করতে হয় মেওয়াতিদের তোপের মুখে পড়ে!

২। ১৯৬৫ সালের ২ এপ্রিল পাকিস্তানের পাঁচ মাস সফরে থাকা অবস্থায় মাওলানা ইউসুফ কান্ধলবি রহ ইন্তকাল করলে নিযামুদ্দিনে ও তাবলিগের হাল ধরবে কে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। অধিকাংশ ছমঝদার তাবলিগওয়ালাদের পছন্দ ছিলো হযরত আবুল হাসান আলি নদবী রহ হবেন। কারণ তিনি শুরু থেকেই ইলয়াস রহ. এর মুখপাত্র। সাত মাস আরবে তাবলিগের কাজ করেছেন তিনি। বর্তমান সালের সফর তখন সাত মাসের নেসাব ছিলো। ইলয়াস রহ তাকে তার মাইক বলতেন। তার সাহায্যেই ইলয়াস রহ. বয়ান করতেন। তাবলিগি নেসাবের সব কিতাবে আলি মিয়া নাদাবির মূল্যায়নকে মূল্যবান মনে করা হয় এখনো পর্যন্ত। কিন্তু মেওয়াতিরা হযরত আলি নাদাবীকে নিয়ে নিযামুদ্দিনে এমন বিব্রতকর ও লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি করে যে আলি নাদাবী তখন বেদনাহত হৃদয়ে তাবলিগের প্রতি আস্থা হারিয়ে তাবলিগ থেকে সরে যান সে সময়। আলি মিয়া নাদাবি এরপরে তাবলিগে আসাযাওয়া ছেড়ে দিলেও জীবনের শেষ পর্যন্ত হামদর্দি রাখতেন। মেওয়াতিদের কারণে ১৯৬৫ সালে তাবলিগ হারায় আবুল হাসান আলি নাদাবির মতো একজন চিন্তাপুরুষ রুহানী ব্যক্তিত্বকে!
৩। সর্বোশেষ ২০১৬ সালের রমজান মাসে মাওলানা আলি মিয়া নাদাবি রহ.এর খলিফা মাওলানা আহমাদ লাঠ সাহেব, মাওলানা ইবরাহিম দেওলা প্রমুখ আহলে ইলম তাবলিগওয়ালাদের অংশকে মেরে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে নিজামুদ্দিন থেকে বের করে দেয় মেওয়াতিরা।
– ইলম ছাড়া শুধু তাবলিগ হলে মেওয়াতিদের খাতির তোয়াজ সুবিদিত। যতদিন আপনি মেওয়াতে থাকবেন আপনার খাবারদাবার কেনাকাটা সব ফ্রি। কিন্তু কুরআন-হাদীস ইসলাহ তাযকিয়া এসব নিয়ে তাদের সামনে হাযির হলে তাদের প্রথা ও গাফলতে ডিস্টার্ব মনে করে আপনাকে বের করে দেবে।
– তারা শরীরে লম্বা জুব্বা, মাথায় পাগড়ি, চোখে সুরমা ইত্যাদি ধারণ করেছে, কিন্তু ওহির ইলম থেকে বরাবরই মাহরুম থেকেছে। ইলয়াস রহ. খুব আক্ষেপ করতেন মেওয়াতিদের সন্তানদের মাদরাসা ও শিক্ষায় উদাসীন থাকায়।
– দিল্লির ত্রাস বর্বর মেওয়াতিরা যেহেতু ইলয়াস রহ.এর কুরবানির উসিলায় আখেরাতের জীবন চিনেছে ও অনন্ত সে জীবনে নাজাতের পথ পেয়েছে তাই তাদের ত্রাতা খান্দানকে পূজনীয় করে রাখতে প্রয়োজনে পূর্বের পশু চরিত্র ধারণ করে। ইলয়াস রহ.এর খান্দানকে রক্ষায় পাশবিক পেশিশক্তি দিয়ে ঝাঁপয়ে পড়বে হিন্দু যদুরাজপুতের উত্তরসূরিরা।
– সম্প্রতি মৌলভি সা’দ কান্ধলভিকে নিয়ে তাবলিগের বিশৃঙ্খলাও জিইয়ে রেখেছে মেওয়াতিরা। পুরো পৃথিবী তছনছ ও সারখার হয়ে যাক, তবু হযরতজী খান্দানের সাদ সাহেবকে মাথায় উঁচিয়ে রাখতে হবে। হযরতজীর খান্দানই মেওয়াতিদের জীবন মরণ সব!
– এভাবে বরেণ্য আলেমদেরকে অবমূল্যায়ন ও অপব্যবহারের কারণে আলেমসমাজ যাওবা তাবলিগের প্রতি ঝোঁক ছিলো তাও নষ্ট হয়ে যায়, আলেমগণ তাবলিগে মেশা নিরাপদ মনে করতে পারেন নি, তবে মৌনসমর্থন করতেন ও করেন, বুকে জমানো কষ্ট নিয়েও মাঝেমধ্যে তাবলিগে জড়াতেন ও জড়ান।

[দুই]
হযতর ইলয়াস রহ. একজন বিদগ্ধ আলেম ছিলেন। একজন নবীর আশেক মুহাদ্দিস ছিলেন। মাযহারুল উলুম সাহারানপুর মাদরাসায় তিরমিযি, কুতবি, নুরুল আনওয়ার, মাকামাতে হারীরি প্রভৃতি কিতাবের দরস দিয়েছেন। তদুপরি চারজন আলেম থেকে সর্বদা পরামর্শ নিতেন-
১। মুফতিয়ে আজম কেফায়াতুল্লাহ রহ.(কেফায়াতুল মুফতি, রাহে নাজাত)
২। শাইখুল হাদীস যাকারিয়া রহ.(ভাতিজা, ছাত্র, জামাতা)
৩। মাওলানা ইহতিশামুল হাসান রহ. (তাবলিগের উসুল ও ছয় ছিফাত প্রণেতা)
৪। মাওলানা সৈয়দ আবুল হাসান আলি নাদাবি রহ.(ইলয়াস রহ.এর মুখপাত্র)
শাইখুল হাদীস হাদীস যাকারিয়া রহ. বিদগ্ধ গবেষক আলেম ছিলেন। অনেক হাদীসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ তিনি লিখেছেন। অবসরে সাধারণদের জন্য ফাজায়েল সিরিজের কিতাব লিখেছেন, যার সংখ্যা বিশের অধিক। ফাজায়েলে নামাজ, ফাজায়েলে রোজা, ফাজায়েলে যাকাত, ফাজায়েরে তিজারত, ফাজায়েলে মাসজিদ প্রভৃতি। এরমধ্যে কিছু কিতাব তাবলিগে নেসাবভুক্ত করা হয়। তাবলিগের সমালোচনা করে তিনি প্রচুর লিখেছেন। ফলে তাবলিগ পরিশুদ্ধ থেকেছে। তাবলিগ পার ইতিরাজাত কা জাওয়াব অনন্য উদাহরণ। তার ইন্তেকালের পর থেকে তাবলিগের সমালোচনা করে কেউ লিখে নি ও বলে নি। বরং ফাঁকা মুখে প্রশংসাই করেছে ফলে তাবলিগ পরিণত হয়েছে আত্মপ্রশংসিত একটি জামাতে।
তবুও উলামায়ে কেরাম তা মোটামুটি চলতে দিতেন। ভয়ংকর অবস্থা হয়েছে বর্তমানে, এই আত্মতুষ্ট জামাত থেকে জন্ম নিয়েছে ভয়ংকর ‘এতায়াত ফেরকা’।
[তিন]
তাবলিগ জামাতে অসংখ্য পরিভাষার অপব্যবহার হয়েছে। আমির শব্দটা অন্যতম। অমির আরবি শব্দ হওয়া সত্ত্বেও আরবরা তাবলিগে আমির শব্দটা ব্যবহার করে না। আরবরা বলে ‘মাসউল’। হাদীসের শব্দ। আরবদেরকে আমি জিজ্ঞাসা করেছি তোমরা আমির শব্দ বলো না কেনো? তারা বলেছে, আমরা তো অনেকেই ব্যক্তিজীবনে আমির! কিন্তু তাবলিগে এসেছি জুহদ ও যুহদের জন্য। ফকিরির জন্য। সালফে সালেহিনের ইতিহাসে যা দেখি তার সাথে সাদৃশ্যের জন্য। হযরতজী এনামুল হাসান রহ.এর মালফুজাতে দেখা যায়, তিনি আমির বলতে নিষেধ করতেন। তিনি ‘যিম্মাদার’ শব্দটা ব্যবহার করতে বলতেন। আরদের বলতে শুনেছি, হাযা লাফযুন সিয়াসিইয়ুন। আমির একট রাজনৈতিক পরিভাষা। রাষ্টপ্রধান বা খলিফাকে আমির বলা হয়। তাবলিগ যদি রাজিনীতি শুরু করে তাহলে আমির শব্দটা ব্যবহার করতে পারবে। রাজনীতি না করলে এই রাজনৈতিক শব্দ ব্যবহার করা বৈধ হবে না। জামায়াত শিবির আমির শব্দটা ব্যবহার করতে পারবে। কারণ তারা রাজনীতি করছে। তাবলিগওয়ালারা আরব হলে মাসউল ব্যবহার করবে। আজমী হলে যিম্মাদার ব্যবহার করবে। এটাই নিরাপদ। যুগ যুগ ধরে এটাই হয়ে আসছে। মাওলানা সাদ সাহেবের যুগেই তাবলিগে আমির শব্দের অবৈধ ব্যবহার শুরু হয়েছে এবং আমিরত্বেরও অবৈধ ব্যবহার শুরু হয়েছে। এর আগে সবাই মাসউল বা যিম্মাদার শব্দ ব্যবহার করতো। আর হযরতজী বলতো প্রধানকে। ভারতে হযরতজি একটা সম্মানসূচক শব্দ। ভারতীয়রা যে কাউকেই হযরতজি বলে। রাস্তার টঙ্গাওয়ালা আপনাকেও বলবে, হযরতজি, যারা সাইড দিজিয়ে না!

[চার]
– তাবলিগ জামাতের কাম কি নবীওয়ালা মেহনত?
– মোটেও না! মুতলাক ও নিঃশর্তভাবে নবীওয়ালা মেহনত বলা যাবে না। বরং এটা কাশফওয়ালা মেহনত। ১৯২৬ সালে ইলয়াস রহ. হজের সফরে নবীজীর রওজায় মুরাকাবা করলে মেহতের এই সুরত কাশফ হয় এবং দেশে ফিরে মুফতি কেফায়াতুল্লাহ রহ. যাকারিয়া রহ. ও খলিল আহমদ সাহারানপুরি রহ. প্রমুখ আকাবিরকে এই বিবরণ শোনালে তারা এটাকে প্রাথমিকভাবে অনুমোদন করেন। একদল উলামার অনুমোদনের কারণে এই কাশফওয়ালা মেহনত স্বীকৃতি লাভ করেছে। কোনো নবী কোনো সাহাবী এভাবে মসজিদে মসজিদে ৩ দিন করে খাওয়া দাওয়া করে রাস্তায় সারিবদ্ধ হয়ে গাশত করে দাওয়াতের মেহনত করেন নি। এই সুরত ইলয়াস রহ. কাশফের মাধ্যমে হাসিল করেছেন। এটা কাশফওয়ালা মেহনত। নবীওয়ালা মেহনত নয়।
– তাহলে নবীওয়ালা মেহনত কী?
– নবী সা. যা যা করেছেন সেগুলো নবীওয়ালা মেহনত।
সুরা বাকারায় নবীর চারটি গুণ আলোচিত হয়েছে।
১। তিনি আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করে শোনাবেন। শুধু আয়াত তেলাওয়াত করে শোনানো নবীওয়ালা মেহনত। ইমাম সাহেব পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আয়াত তেলাওয়াত করে শোনান। তিনি নবীওয়ালা মেহনত করছেন।
২। তিনি কিতাব শিক্ষা দিবেন। হুযুররা মাদরাসায় বসে বসে কিতাব পড়াচ্ছেন, এটা নবীওয়ালা মেহনত।
৩। তিনি মানুষদের সংশোধন কররবেন। উলামায়ে কেরাম উম্মতের ভুল সংশোধন করছেন। এভাবে ওয়াজাহাত ও তাজকিয়া করা নবীওয়ালা মেহনত।
৪। সুরা ইউসুফে আছে আল্লাহর দিকে ডাকা, এটাও আল্লাহর রাস্তা। সুতরাং যারা আল্লাহর দিকে ডাকছেন তারাও নবীওয়ালা মেহনত করছেন।
কোরআন ও হাদীসে এরকম আরো অসংখ্য নবীওয়ালা মেহনত আছে।
– সমস্ত নবী কি মানুষের ঘরে ঘরে দারে দারে বারে বারে গিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন?
– না, বরং অল্প কিছু নবী এভাবে দাওয়াত দিয়েছেন। তারাও আবার পুরো জীবন এভাবে দাওয়াত দেন নি, বরং নবুওতপ্রাপ্তির প্রথমদিকে অল্প কিছু সময়।
– সুলাইমান আ. সিংহাসনে বসে মানুষকে আল্লাহর হুকুম শোনাতেন। এক মাসের পথ সকালে পারি দিতেন ও এক মাসের পথ পারি দিয়ে ফিরে আসতেন। একেক দেশে সিংহাসন উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে দরবার ডাকতেন, সবাই একত্র হলে তিনি বিচার করতেন ও আল্লাহর হুকুম শোনাতেন।
– দাউদ আ. লোহার কাজ করতেন, তিনি এক জায়গায় বসে যাবুর পাঠ করতেন. সবাই শুনতো।
– ইউসুফ আ.ও বাদশাহী করেছেন ও শাসন করেছেন।
– নুহ আ. মানুষের কাছে কাছে গিয়ে গিয়ে দাওয়াত দিতেন।
– রাসূল সা মক্কায় প্রথম কয়েক বছর মানুষের কাছে গিয়ে গেয়ে দাওয়াত দিয়েছেন। পুরো জীবন নয়। সাহাবায়ে কেরামও সবাই দাওয়াতের জন্য বের হন নি। মসজিদে নববীর সামনের চত্বরের দৃশ্য এমন ছিলো:
– কেউ জিহাদের কাফেলা নিয়ে বের হচ্ছে; বাকীরা ভাবতো নবীওয়ালা মেহনতে যাচ্ছে…
– কেউ রাসূলের চিঠি নিয়ে কোনো বাদশাহর কাছে যাচ্ছে; বাকীরা ভাবতো নবীওয়ালা কাম নিয়ে যাচ্ছে,…
– কাওকে রাসূল কোনো দেশে শিক্ষক হিসেবে পাঠাচ্ছেন; বাকী সবাই দেখে এটাই ভাবতো যে, এই সৌভাগ্যবান সাহাবী নবীওয়ালা মেহনত ও কাম নিয়ে যাচ্ছে…
– কেউ বিচারক হিসেবে যাচ্ছেন; বাকী সবাই মনে করতো নবীওয়ালা মেহনত নিয়ে বের হচ্ছে…
– কাওকে গভর্নর হিসেবে পাঠানো হচ্ছে; সবাই এটাই ভাবতো যে, তিনি নবীওয়ালা কামের যিম্মাদারী নিয়ে যাচ্ছেন…
– কোনো জামাতকে পাঠানো হচ্ছে কোনো সম্প্রদায়ের মাঝে কেবল কালেমার দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে আসার জন্য; বাকীরা ভাবতো নবীওয়ালা কাম নিয়ে যাচ্ছেন…
এমন আরো যাবতীয় সবগুলোকেই সাহাবায়ে কেরাম নবীওয়ালা মেহনত কাম ও যিম্মাদারী মনে করতেন। কিন্তু আমরা কি তা করি?

____________________________
বিস্তারিত দেখুন:
১। আপবীতী
২। ইলয়াস রহ আওর উনকি দ্বীনী দাওয়াত
৩। সাওয়ানহে হযরতজী সালেস
৪। আল ইতিদাল ফি মরাতিবির রিজাল
৫। হায়াতে ইউসুফ রহ
৬। মালফুজাত
৭। কারওয়ানে যিন্দেগী
৮। তাফসিরে মাআরিফুল কুরআন