ঢাবিতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ হলে মুক্ত রাজনীতির অধিকার ক্ষুন্ন হবে – ছাত্র মজলিস

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ০৩ ২০১৯, ০২:২২

একুশে জার্নাল ডেস্ক: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনসুরুল আলম মনসুর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ হলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মুক্ত রাজনীতির অধিকার ক্ষুন্ন হবে।

ডাকসু হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ডাকসু কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তাদের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করেছে।
একই সাথে উন্মুক্ত পরিবেশে বহুমত-পথের মিথস্কিয়ায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চার একটি প্রতিষ্ঠানের অতীত ঐতিহ্যকে ম্লান করে দিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা ছাত্র সমাজ ইতিমধ্যে প্রত্যাখান করেছে।

তিনি বলেন, তিন দশক পরে কলঙ্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর নেতৃবৃন্দ এই ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানটিকেও কলঙ্কিত করছেন। ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পাশ করে ডাকসু একটি অসাংবিধানিক ও অধিকার বহির্ভূত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্যাম্পাসে কে কোন মত ও পথের রাজনীতি করবে তা নির্ধারণ করার এখতিয়ার ডাকসু রাখে না।

তিনি অনতিবিলম্বে এমন সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে সাধারণ ছাত্র সমাজের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ডাকসু ও ঢাবি প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

১ ও ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ২০১৯-২০ সেশনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের ১ম সাধারণ অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

২ দিন ব্যাপি উক্ত পরিষদ অধিবেশনের সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আজ নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা উপস্থিতি না থাকায় ক্যাসিনো, মদ, জোয়ার মত অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে। তাই প্রতিটি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার অপরিহার্যতা নতুন করে ফুটে উঠেছে।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের নব-নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি মনসুরুল আলম মনসুরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ মনির হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অধিবেশনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দীন, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, এডভোকেট তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, প্রকৌশলী আব্দুল হাফিজ খসরু, সদ্যবিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস আহমদ।

অধিবেশনে কর্মসূচির মধ্যে ছিল নির্বাচিত পরিষদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ, দারসে কুরআন, প্রস্তাব গ্রহণ, বার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠন, জেলা সভাপতি মনোনয়ন প্রভৃতি।

অধিবেশনে দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ শাহীন, প্রশিক্ষণ ও প্রচার সম্পাদক বিলাল আহমদ চৌধুরী, অফিস ও স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল গাফফার, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য শাব্বীর আহমাদ, আফজাল হোসাইন কামিল, মুহাম্মদ রায়হান আলী, মুহাম্মদ জারির হুসাইন।